গত দুই বছর করোনার দাপটে নাস্তানাবুদ হয়েছে গোটা বিশ্ব৷ এখনও কমেনি করোনাভাইরাসের চোখরাঙানি৷ ২০১৯ সালের শেষ দিক থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল বিশ্বজুড়ে। ২০২০ সাল থেকেই তা ভয়াবহ আকার নেয়। মানুষের কাছে আতঙ্ক হয়ে ওঠে করোনাভাইরাস।
কিন্তু সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার এক বছরের মাথায় বাজারে চলে আসে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধকারী ভ্যাকসিন। এই টিকা নিয়ে প্রথম থেকেই অনেক প্রশ্ন ছিল এবং টিকা নেওয়ার ফলে যে মৃত্যু হচ্ছে এমনও দাবি করা হয়। সেই ইস্যুই এবার বড় আকার নিল।
করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মৃত্যু হয়েছে মেয়ের। এমন বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে ধনকুবের বিল গেটস এবং সেরাম ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হলেন এক ব্যক্তি। তিনি ১ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
জানা গিয়েছে, বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন দিলীপ লুনওয়াত নামের এক ব্যক্তি। তিনি দাবি করেছেন, কোভিশিল্ড টিকার ডোজ নিয়েই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় তাঁর মেয়ের শরীরে। আর তার জেরেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এই কারণে গেটস ও সেরামকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। আসলে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ১০০ মিলিয়ন ডোজ পৌঁছে দিতে বিল গেটসের সঙ্গে হাত মেলান সেরাম ইনস্টিটিউট প্রধান আদর পুনাওয়ালা।
সেই প্রেক্ষিতেই মূলত তাদেরকে এই মৃত্যুর জন্য দায়ি করেছেন এই ব্যক্তি। তবে নিজের আবেদনে স্বাস্থ্যমন্ত্রক, DCGI, ড. ভিজি সোমানি, ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল এবং এইমসের ডিরেক্টর ড. রণদীপ গুলেরিয়ার নামও উল্লেখ করেছেন দিলীপ।
ঔরঙ্গাবাদের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে মেডিক্যালের ছাত্রী ছিল এবং কলেজে এই টিকা নিতে বাধ্য হয়েছিল। যেহেতু স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া হচ্ছিল শুরু থেকে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে সেই টিকা নেয় সে।
দিলীপের দাবি, টিকা নেওয়ার পর থেকেই তাঁর মেয়ের শরীর খারাপ হতে শুরু করে। মাথা ব্যাথা, বমি হতে থাকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানা যায় যে তাঁর মাথায় রক্তক্ষরণ হচ্ছে। মার্চ মাসে সে মারা যায়।
দিলীপ তাঁর মেয়ের মৃত্যুর জন্য কোভিড ভ্যাকসিনকেই দায়ি করেছেন। তাই ১ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে গেটস-সিরামের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এই মামলার পরের শুনানি নভেম্বর মাসে।