তৈরী রয়েছে রাজ্যের শাসক শিবিরের আগামী প্রজন্ম৷ একুশের বিধানসভা ভোটে নীলবাড়ি দখলের লড়াইয়ে বিপুল সাফল্যের পর দলের পরবর্তী প্রজন্মের নেতা হিসাবে তর্কাতীত ভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই অভিষেককে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ঘোষণা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷ জাতীয় স্তরে দলের উত্তরণ ঘটানোর লক্ষ্যেই দায়িত্ব সঁপা হয় অভিষেকের হাতে৷ তবে কি পরবর্তী প্রজন্মকে তৈরি করে নিচ্ছে তৃণমূল? এই প্রশ্নের জবা বে ফিরহাদ হাকিম জানালেন, আগামী প্রজন্মের মুখ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই৷
ফিরহাদের কথায়, ‘‘একটা সময় ভাল গালাগালি দিতে পারাটাকেই কংগ্রেসের কাউন্সিলর হওয়ার যোগ্যতা বলে মনে করা হত।’’ কিন্তু তাঁর দাবি, এ বার ছোট লালবাড়ির দখলের লড়াইয়ে সেই চিরাচরিত প্রথাকে ভেঙে ফেলেছে তৃণমূল৷ তিনি বলেন, ‘‘এখন যাঁরা তৃণমূলের কাউন্সিলর হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেক কমবয়সি ছেলেমেয়ে আছেন৷ যাঁরা উচ্চশিক্ষিত। দলের এই উচ্চশিক্ষিত কমবয়সি ব্রিগেডের নেতৃত্বে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।’’
তৃণমূলের পরবর্তী প্রজন্ম সম্পর্কে ফিরহাদ বলেন, ‘‘মমতাদি নিজেও দলের পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে খুব উৎসাহী। পরের প্রজন্ম তৈরি করে দিতেই হবে৷ পরের প্রজন্ম তৈরি করতে না পারায় সিপিএমের যে অবস্থা হয়েছে, সেটা আমরা দেখতেই পাচ্ছি। আমরা একটা নীতি আদর্শ নিয়ে লড়াই করে চলেছি, যার জন্য মমতাদি নিজের জীবনটা পুরোটাই দিয়ে দিয়েছেন। সেই নীতিকে পাথেয় করে আগামী দিনেও যাতে মানুষের ভাল হয়, আমরা সেটাই চাইব। তাই নিশ্চিত ভাবে আমরা চাই আগামী প্রজন্ম উঠে আসুক।’’