দিন প্রতিদিন বেড়ে চলেছে যুদ্ধের গতি। রুশ আক্রমণে ধূলিস্মাৎ দক্ষিণ ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিউপোল৷ কেউ বেঁচে নেই৷ তবে তারা আত্মসমর্পণও করেনি! রবিবার পর্যন্ত চূড়ান্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল রাশিয়া। সেই সময় পেরিয়েছে৷ মারিউপোল ধরা দেয়নি৷ বরং ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্মিহাল ঘোষণা করেছেন, ‘‘রুশ বাহিনীর বোমায় ভগ্নস্তুপে পরিণত হয়েছে মারিউপোল, কিন্তু পতন ঘটেনি!’’ কিন্তু শহরটা কি আদৌ বেঁচে আছে? ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবার জানিয়েছেন, ‘‘এ শহরের আর কোনও অস্তিত্ব নেই।’’
কুলেবা বলেন, ‘‘সামরিক দিক থেকে হোক বা মানবিক, সমস্ত দিক থেকেই মারিউপোলের অবস্থা অতন্ত শোচনীয়। এই শহরের আর কোনও অস্তিত্ব নেই। অল্প কিছু বাহিনী ও সাধারণ বাসিন্দাদের একটা অংশ অবশ্য এখনও বেঁচে আছে। কিন্তু তাঁরা রুশ সেনার জালে আবদ্ধ। প্রতি মুহূর্তে বাঁচার জন্য লড়াই করে চলেছে। তবে রাশিয়ার আচরণে কোনও পরিবর্তন নেই৷ তারা যে কোনও মূল্যে ওই শহরটাকে মাটিতে মিশিয়ে দিতে চায়। সেই সিদ্ধান্তে তারা অনড়।’’
শুধু কুলেবাই নন, এই হতাশা শোনা গিয়েছে ইউক্রেনের একাধিক নেতামন্ত্রীর মুখে। এর আগে ডনেৎস্ক অঞ্চলের গভর্নর পাবলো কিরিয়েঙ্কা বলেছিলেন, ‘‘পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মারিউপোলকে মুছে দিয়েছে পুতিনের ফৌজ৷’’ গত সপ্তাহে মারিউপোলের মেয়র বাদিম বয়চেঙ্কো জানান, শহরের ৯০ শতাংশ পরিকাঠামো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে৷ মারিউপোলের পাশাপাশি ইউক্রেনের অন্যান্য অংশের উপরেও ক্রমাগত হামলা চলছে৷ সোমবার সকাল থেকেই পশ্চিম ইউক্রেনের পোল্যান্ড সীমান্ত ঘেঁষা লিভ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। এখনও পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে৷