গ্রেফতার হলো লরিচালক

হাসপাতাল থেকে ফেরার পরই, আচমকাই ঘটে গিয়েছে বিপদ। গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর মেয়ে ও গাড়ির আরও এক সওয়ারির। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে লরিচালককে। বীরভূমের পাড়ুই থানার কেশবপুর মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি লরিকে ওভারটেক করে এগোচ্ছিল সায়গলের গাড়ি। সেই সময় সামনে দাঁড়িয়ে ছিল একটি লরি। তাতেই ধাক্কা লাগে তাঁদের গাড়ির। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে দুর্গাপুর থেকে বোলপুর ফেরার পথে ইলামবাজারে ওই লরিকে সজোরে ধাক্কা মারে গাড়িটি। সপরিবারে বাড়ি ফিরছিলেন সায়গল৷ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় সায়গলের ছয় বছরের মেয়ে ও গাড়ির আরও এক সওয়ারি৷ দুর্ঘটনার খবর পেয়েই অকুস্থলে পৌঁছয়  ইলামবাজার থানার পুলিশ৷ ওই শিশুকন্যা সহ আহতদের তড়িঘড়ি বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়৷ তবে সায়গল কন্যাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন নতুন জল্পনা। বিজেপি এর মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে। বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন।

এর আগে দু’বার সিবিআই অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে তলব করেছিল। হাজিরাও দেন সাইগল হোসেন। তারপরই এই দুর্ঘটনা। সেই প্রেক্ষিতেই অনুপম হাজরার বক্তব্য, অনুব্রত মণ্ডলের সবথেকে বিশ্বস্ত এবং সবথেকে কাছের দেহরক্ষী হলেন সায়গল হোসেন। যার ঘাড়ে হাত রেখে বেশিরভাগ সময় উনি হাঁটাচলা করতেন। তিনি আশা রাখবেন সিবিআইয়ের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা কালীন ওনার অন্য কোনও খুবই কাছের দেহরক্ষীর এমন কোনও দুর্ঘটনা ঘটবে না। এই দুর্ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে তাঁর চিঠি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পৌঁছাবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।