বিগত কয়েক মাস ধরে চলছে মামলা। গ্ৰুপ-সি, গ্ৰুপ-ডি এবং নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ-সহ মোট ১০টি মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্র সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। ব্যক্তিগত কারণ দর্শিয়ে এসএসসি মামলা থেকে সরে আসে বিচারপতি ট্যান্ডনের বেঞ্চ৷ সোমবার তাঁর বেঞ্চেই এসএসসি-র একটি মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুনানির শুরুতেই বিচারপতি ট্যান্ডন জানিয়ে দেন, তিনি আর এসএসসি মামলা শুনবেন না। শুধু তাই নয়, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা-সহ মোট ১০ টি মামলা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেছিল রাজ্য সরকার। সেই কমিটির আহ্বায়ক তথা এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা তথা শান্তিপ্রসাদ সিন্হা এবং বাকি চার সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশে শান্তিপ্রসাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এর পর শুক্রবার রাত ১২টা নাগাদ সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখার তরফে এসএসসি’র উপদেষ্টা কমিটির ৪ সদস্য এস আচার্য, পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, অলককুমার সরকার ও টি পাঁজাকে ইমেল করে তলব করা হয়৷ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে তাঁদের নিজাম প্যালেসে সিবিআই-এর দফতরে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ কিন্তু, ওই দিন তাঁরা হাজিরা দেননি৷ বরং সিবিআই তলব এড়িয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানায় ডিভিশন বেঞ্চে৷ বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি৷ তবে তা হচ্ছে না। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এসএসসি মামলা ছেতে সরে দাঁড়ায় বিচারপতি ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ৷