সবসময়ই তিনি থাকেন বিতর্কের শিরোনামে। বিতর্কিত ভিডিও করেই জনপ্রিয় হয়েছেন তিনি। একাধিক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে, অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে গ্রেফতার করা হয় তাকে। জাতীয় পতাকার অবমাননার পাশাপাশি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছিল রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে।
তার জেরে জুন মাসে গোয়া থেকে গ্রেফতার হন তিনি। বেশ কয়েকদিন পরে অবশ্য শর্তসাপেক্ষে জামিন মেনে তাঁর। কিন্তু পুলিশি হেনস্থা নিয়ে সরব হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ইউটিউবার। রোদ্দুর রায়ের করা মামলা এদিন খারিজ হয়ে গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।
এদিন সরকার পক্ষের আইনজীবী আদালতে বেশ কয়েকবার ‘অনির্বাণ রায়’ সম্মোধন করলে বিচারপতি শম্পা সরকার তাঁর কাছে জানতে চান কে এই অনির্বাণ রায়। সরকারপক্ষের আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিচারপতি শম্পা সরকারকে জানান, ইনি রোদ্দুর রায়।
সঙ্গে সঙ্গেই বিচারপতি সম্পা সরকার প্রশ্ন করেন তিনি কি সাংবাদিক? সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, তিনি ইউটিউবার। বিচারপতির সঙ্গে কথোপকথনে সরকার পক্ষের আইনজীবী তাঁকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি ভিডিওটি দেখেছেন?
উত্তরে বিচারপতি জানান, তিনি ভিডিওটি দেখেছেন। তবে সম্পূর্ণ ভিডিওটি না দেখলেও খানিকটা তিনি দেখেছেন। সম্পূর্ণ ভিডিও দেখার মত তার মানসিকতা ছিল না। আর রোদ্দুর রায়ের পক্ষের আইনজীবী আদালতে উপস্থিত না থাকায় মামলা খারিজ করে দেন বিচারপতি শম্পা সরকার।
রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে পাটুলি, হেয়ার স্ট্রিট, চিৎপুর, লেক ও বটতলা থানায় মামলা হয় । কিন্তু একাধিক শর্তে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে আদালত। রোদ্দুরকে ভিডিও করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। জাতীয় পতাকার অপমান করার জন্য তাঁকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৫ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান তিনি।