রাজ্যে ফের বেজেছে ভোটের দামামা। তোড়জোড় শুরু চলতি মাসের আসন্ন ভোট নিয়ে। পুরসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কি ভাবছেন? এই প্রশ্ন করে রাজ্য সরকার, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। আগামী বুধবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
সিপিআইএমের পক্ষের আইনজীবী সভ্যসাচী চট্টোপাধ্যায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জানান, ভোটারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিৎ করতে হবে। প্রয়োজন হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করতে হবে, ভোটারদের আস্থা ফেরাতে এবং যিনি নির্বাচনে প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট বসবেন তাঁকে সেই ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় নাম থাকতে হবে। এই প্রেক্ষিতে আদালতে এজি জানান, নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর রাজ্যের হাতে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব থাকে না। পরিস্থিতি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকে।
তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে তিনি জানান, কিছু সময়ের প্রয়োজন। বিধাননগরের একজন ভোটারের পক্ষের আইনজীবী সৃজিব চক্রবর্তী আদালতে জানান, সাম্প্রতিক কলকাতা পুর নির্বাচনে অশান্তি হয়েছে, বোমাবাজি হয়েছে। ২০১৫ সালে বিধাননগর পুর নির্বাচনে ব্যাপক গন্ডগোল হয়েছিল। কিন্তু ২০১৬ সালের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন হওয়ায় কোন অশান্তি বা গন্ডগোল হয়নি। তাই আদালতের কাছে তাঁর আবেদন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করা হোক।
এদিকে, ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষের আইনজীবী আদালতে জানান, কলকাতা পুর নির্বাচন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে রাজ্যে পুলিশ দিয়ে নির্বাচন করলে কী পরিস্থিতি তৈরি হয়। মানুষ তাঁর নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে যেতে পারেন না শুধুমাত্র নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়ার কারণে। তাই রাজ্যের পুর নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হোক যাতে ভোটারদের আস্থা ফেরানো যায়। উল্লেখ্য, ২৭ তারিখের ভোটগ্রহণ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ ফেব্রুয়ারি। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে ১০৮ পুরসভাতে। তবে পুরভোটে প্রচারের সময়সীমা বাড়িয়েছে তারা। শেষ প্রচারের সময়সীমা ৭২ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে তা করা হয়েছে ৪৮ ঘণ্টা।