আচমকাই বিস্ফোরণ, প্রাণ গেল একাধিক। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কন্টেনার ডিপোয় একের পর এক বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯। প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে দমকলের তিন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় চার শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভয়ানক অগ্নিকাণ্ডের জেরে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা থেকেও দমকলের বিভিন্ন ইঞ্জিন যোগ দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৪টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করছে। আগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও এখনও ডিপোতে আগুন জ্বলতে দেখতে পাওয়া যায়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে সংলগ্ন সীতাকুণ্ডের শীতলপুর এলাকায় এই ডিপো অবস্থিত। আমদানি ও রফতানির বিভিন্ন পণ্য মূলত এই ডিপোতে রাখা হয়। শনিবার রাত ১১টা নাগাদ এই ডিপোতে আগুন লেগে যায়। ডিপোতে প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার জন্য মুহূর্তের মধ্যে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে। অগ্নিকাণ্ডের লোলিহান শিখা বহুদূর থেকে দেখতে পাওয়া যায়। সেই সময় ডিপোতে অনেকে কাজ করছিলেন। খবর পেয়ে দ্রুত দমকল ছুটে আসে। নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ করতে থাকেন। তিন জন দমকলকর্মী মারা গিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দমকল সূত্রের খবর, ডিপোর ৫০০ মিটারের মধ্যে একটি টিনের শেড রয়েছে। সেখানে প্রচুর পরিমাণে হাইড্রেন পারাক্সাইড মজুদ ছিল। প্রথম বিস্ফোরণ সেখান থেকেই হয় বলে দমকল সূত্রের খবর। তবে সেখান থেকেই ডিপোতে আগুন লেগেছে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নন দমকল কর্মীরা। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে তিন চার কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। আশেপাশে অনেক বাড়ির জানলার কাঁচ বিস্ফোরণের জেরে ভেঙে গিয়েছে বলে খবর। ঘটনায় আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা হচ্ছে। ঘটনার জেরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের সমস্ত চিকিৎসকদের সমস্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে।