সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বাংলা সফরের মাঝেই ঘটে যায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। খুন হয়ে যায় বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়া। নির্দেশ আসে ময়নাতদন্তের। এবার কমান্ড হাসপাতালের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে অভিযোগ জানাল রাজ্য সরকার। অভিযোগ, বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার ময়নাতদন্তের পর হায়দরাবাদ সিএফএসএল-এ পাঠানোর জন্য তাঁর পোশাক ফেরত দিতে অস্বীকার করে কমান্ড হাসপাতাল৷ এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করল রাজ্য সরকার। কাশিপুরে বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার ময়নাতদন্তের পর কমান্ড হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাঁর জামা-কাপড়, জুতো কোনটাই তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, কমান্ড হাসপাতালের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, গলায় ফাঁস লেগেই মৃত্যু হয়েছে অর্জুনের৷ ফাঁস লাগার আগে পর্যন্ত দেহে প্রাণ ছিল তাঁর৷ অর্থাৎ খুন করে মৃতদেহ ঝোলানোর যে দাবি করা হচ্ছিল পরিবার ও বিজেপি’র তরফ থেকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তা নস্যাৎ করে দিয়েছে৷ পাশাপাশি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, অর্জুন চৌরাসিয়ার দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। আদালতের নির্দেশে কমান্ড হাসপাতালে অর্জুনের ময়নাতদন্ত হলেও, তা নিরপেক্ষ হবে কিনা, তা নিয়ে আগে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ অমিত শাহের নির্দেশে এই ময়নাতদন্ত হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি৷ ফিরহাদ এও বলেছিলেন, নিরপেক্ষভাবে পোস্টমর্টেম বা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দিলে আধিকারিককে চাকরি হারাতে হবে৷ আর এবার কমান্ড হাসপাতালের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গেল রাজ্য সরকার৷