প্রধানমন্ত্রীর পদে বসার পর গত কয়েকবার বাতিল হলেও অবশেষে ভারত সফরে এসেছেন তিনি। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ভারতে এসেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। দু’দিনের ভারত সফরে এসেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ভারত সফরে এসেই বিজয় মাল্য ও নীরব মোদিকে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি। প্রশ্নে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি দুজনকেই ভারতের কাছে হস্তান্তর করতে চান।
বরিস জনসন বলেন, ‘নীরব মোদি ও বিজয় মাল্যকে আমরা ভারতে ফেরত পাঠাতে চাই। যাঁরা আইন এড়াতে আমাদের দেশে আশ্রয় নেয়, তাঁদের আমরা কখনই স্বাগত জানাই না।’ তিনি ব্রিটেনে কাজ করা কিছু খালিস্তানি সংগঠন নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। খালিস্তানি সংগঠনের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রুশ ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বরিস জনসন বলেন, আগামী মাস থেকেই কিয়েভে ব্রিটেনের দূতাবাস খোলা হবে।তিনি বলেন, মারিউপোলে রুশ সেনারা হত্যালীলা চালিয়েছে। যা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। কোনওভাবেই সমর্থন করা যায় না। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান নিয়েও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক অনেক পুরনো। রাশিয়ার বিষয়ে ভারতের অবস্থান সকলের জানা। বর্তমান পরিস্থিতেও ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক অটুট রয়েছে।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন নিয়ে পশ্চিমি দেশগুলো রাশিয়ার বিরোধিতা করেছে। তবে ভারত সরাসরি কোনও নিন্দা করেনি। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া থেকে ভারত বিরত থেকেছে। ভারতকে এই সিদ্ধান্তের জেরে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। আমেরিকা বার বার ভারতকে সতর্ক করেছে। তবে সমস্ত হুমকির পরেও ভারত নিজের অবস্থানে স্থির থেকেছে।