বিশ্বের মধ্যে এই মুহূর্তে সব চেয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার। টালমাটাল পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রীর পদে। লঙ্কাপুরীতে পরিণত হয়েছে সব কিছু। চারিদিকে জ্বলছে আগুন। অশান্তির আগুন পুড়ছে শ্রীলঙ্কা৷ পরিস্থিতির চাপে পদত্যাগ করেছেন মহিন্দা রাজাপক্ষে। কিন্তু তারপরেও রাজপক্ষের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ কমছে না। মহিন্দা রাজাপক্ষের পৈতৃক ভিটেতে আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। এই পরিস্থিতিতে মহিন্দা রাজপাক্ষের দেশ ছেড়ে পালাবার সম্ভাবনা প্রবল। শ্রীলঙ্কার আদালতের কড়া নির্দেশ দিয়েছে, কোনওভাবেই দেশ ছেড়ে পালাতে পারবে না মহিন্দা রাজাপক্ষে সহ আরও ১৬ জন।
গত দুই মাসে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হতে শুরু করেছে। অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দেয়। দেশ জুড়ে বিদ্যুৎ থেকে জ্বালানির আকাল দেখা দেয়। আর্থিক দেনায় ডুবে গেছে শ্রীলঙ্কা। মূল্যবৃদ্ধির জেরে দুবেলা খাবার জোগাড় করাই কষ্টকর হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষ ধৈর্য হারিয়ে বিক্ষোভে নেমেছে। সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেন দেশের সাধারণ মানুষ। সোমবার প্রশাসনের সঙ্গে বিক্ষোভকরীদের সংঘর্ষে আট জনের মৃ্ত্যু হয়েছে। দুই পক্ষের ২৫০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার পদত্যাগের পরেই মঙ্গলবার সকালে বিশাল সেনাবাহিনী সরকারি বাসভবন থেকে মহিন্দা রাজাপাক্ষে ও তাঁর পরিবারকে উদ্ধার করে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারীরা রাজাপাক্ষের পৈতৃত বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপরেই দেশের রাজনৈতিক নেতারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বুধবার শ্রীলঙ্কার সংসদের স্পিকার পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেলের কাছে নিরাপত্তার আবেদন করেন। শ্রীলঙ্কার নৌসেনার ঘাঁটিতে রাজাপক্ষের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন সাংসদ আশ্রয় নেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপক্ষে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন বলে গুজব ওঠে। তবে হাই কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে রাজাপক্ষে ভারতে আসেননি।
শ্রীলঙ্কা আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মহিন্দা রাজাপক্ষে তাঁর ছেলে নমাস রাজাপক্ষে ও ১৫ জন দেশ ছেড়ে পালাতে পারবে না। কলম্বোর ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, সোমবার দেশের সাধারণ মানুষের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে কারা হামলা চালিয়েছে, তা তদন্ত করতে হবে।