আদালতের নির্দেশে অস্বস্তি বাড়লো চাকরি প্রার্থীদের

রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে নবম-দশম শ্রেণির মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন স্পষ্ট জানান হয়েছে, কোনও স্থগিতাদেশ নয় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ওপর। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, কমিশন সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবে চাকরি থাকবে কি না। এতএব, ৮০৫ জনের চাকরি বাতিল নিয়ে হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ।

আদালতের বক্তব্য, ন্যাচারাল জাস্টিস কোনও স্ট্রেট জ্যাকেট হতে পারে না। ওএমআর শিট বিকৃতি হয়নি বা এটা তাদের নয় বলে কোনও মামলাকারী বলেননি। এই মামলায় হাইকোর্টে এসএসসি জানিয়েছিল, কমিশনের অফিসের সব ওএমআর সিট নষ্ট করা হয়েছে। কোনও হার্ড কপি নেই। তবে ডিজিটাল মাধ্যমে সব প্রার্থীর তথ্য সংরক্ষণ করা আছে।

চাকরিপ্রার্থী মামলকারীদের বক্তব্য, গাজিয়াবাদের নাইসা নামে একটি সংস্থাকে ওএমআর সিটের বরাত দিয়েছিল এসএসসি। এই মামলার তদন্তে সিবিআই সেখান থেকেই আসল ওএমআর সিট উদ্ধার করে। এর পরই বিচারপতি বসু নির্দেশ দেন, এসএসসি-কে আইন অনুযায়ী নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে ৮০৫ জনের চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া ৭ দিনের শুরু করতে হবে। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশে ৮০৫ জনের মধ্যে ৬১৮ জনের চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল এসএসসি। ওই নির্দেশ বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ।