শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় জর্জরিত রাজ্যে। জড়িত হয়েছে একাধিক মন্ত্রীর নাম। এই পরিস্থিতিতে কড়া নির্দেশ আদালতের তরফে। এসএসসি’কে ফের প্রকাশ করতে হবে প্রতিটি প্রার্থীর নাম ও প্রাপ্ত নম্বর। যাদের অতিরিক্ত প্রার্থী হিসেবে ডাকা হয়েছে তাঁদেরও।
একই সঙ্গে এও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, যাদের ডাকা হয়েছিল তাদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ দেওয়া হয়েছে কিনা, সেটা বলতে হবে। আগামী ১৬ অগাস্টের মধ্যে এই তথ্য জানাতে হবে আদালতকে। ১৮ অগাস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি।
এই নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি আদালত আরও জানিয়েছে, এসএসসি ডেটা রুম শর্তসাপেক্ষে খোলা যেতে পারে, তবে সিবিআই এবং এনআইসি’র উপস্থিতিতে। অভিযোগ উঠেছে, ২০১৬ প্রথম SLST-তে আইন ভেঙে অতিরিক্ত সংখক প্রার্থীদের পার্সোনালিটি টেস্টে ডাকা হয়েছিল।
যদিও আদালত মনে করছে, প্রতিটি বিষয়ে অতিরিক্ত প্রার্থীদের ডাকা হয়েছে, এটা হওয়া কঠিন। তবে এই প্রেক্ষিতে নয়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ডেটা রুম এখনই এসএসসির হতে তুলে দেওয়া যাবে না। তবে অন্য আদালতের নির্দেশ থাকলে সিবিআই ও এনআইসি প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ডেটা রুম ব্যবহার করা যাবে।
কিন্তু ৩ দিনের বেশি সে কাজের জন্য তাদের বরাদ্দ করা যাবে না। এদিকে, কম নম্বর পাওয়া সত্বেও বিশ্বজিৎ বিশ্বাসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কেন, এর কারণ ব্যাখ্যা করে হলফনামা দিতে হবে ১৬ আগস্টের মধ্যে, নির্দেশ আদালতের।
এদিকে আবার আন্দোলনকারীদের বার্তা দিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ঘরে বসে বিপ্লব হয় না! গান্ধী মূর্তির পাদদেশে থাকা আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। হাতে মোমবাতি নিয়ে মিছিলে করলে আর একটা মেসেজ করে ছেড়ে দিলেই বিপ্লবী হয়ে যাওয়া যায় না। রাস্তায় নামতে হবে, আন্দোলন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, এখন স্যোশাল মিডিয়ার অপব্যবহার করে হচ্ছে। চাকরি না পেলেই অভিযোগ। কত জন অবস্থান করছেন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে, কী কারণে আন্দোলন করছেন তা তিনি জানেন।