গত দুদিনের ঊর্দ্ধমুখী দেশের করোনা সংক্রমণের পর আজ তা কিছুটা কমলো। আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের নিচে রয়েছে। উৎসব মরশুমে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা ছিল, কিন্তু আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। যদিও আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে হলেও অনুমান, আগামী কয়েক সপ্তাহ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সচেতন হয়েই থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে। একদিকে হয়েছে ১০০ কোটি টিকার ডোজের বিশ্ব রেকর্ড করেছে দেশ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৩২৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬৬৬ জনের। দেশের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ কোটি ৩৫ লক্ষ ৩২ হাজার ১২৬ জন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৩৫ লক্ষ ৩২ হাজার ১২৬ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৬৭৭ জন। এতদিনে মোট প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৪ লক্ষ ৫৩ হাজার ৭০৮ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৭২৮ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ১০১ কোটি ৩০ লক্ষ ২৮ হাজার ৪১১ ডোজ টিকা পেয়েছেন মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে টিকাকরণ হয়েছে ৬৮ লক্ষ ৪৮ হাজারের বেশি। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.১৬ শতাংশ। যা একবছর ৯ মাসে সর্বোচ্চ।
কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে, গত জুন মাস পর্যন্ত মাত্র ২৫ কোটি টিকাকরণ হয়েছিল দেশে। তার পর থেকেই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে টিকাকরণের গতি। অগাস্ট মাসে তা দাঁড়ায় ৫০ কোটি, সেপ্টেম্বরে ৭৫ কোটি। আর অক্টোবরেই তা ছুঁয়ে ফেলল ১০০ কোটির গণ্ডি। মাত্র ২৭৯ দিনে টিকাকরণে ১০০ কোটির মাইলফলক পার করেছে ভারতবর্ষ৷ আপাতত বিশ্বের আর কোনও দেশ এই নজির গড়তে পারেনি৷ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের প্রথম ১০ কোটি টিকাকরণ হতে সময় নিয়েছিল ৮৫ দিন। যা সর্বোচ্চ। আর সবথেকে কম সময়ে ১০ কোটি টিকাকরণ হয়েছে ১১ দিনে!