তৎপরতার সাথে কাজ শুরু হয়ে গেছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের। আগামী বছর একদম শুরু দিকেই হতে পারেপঞ্চায়েত নির্বাচন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ইঙ্গিত অনেক আগেই মিলেছিল যে আগামী বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসতে পারে।
এবার আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সব জেলা প্রশাসনকে সীমানা পুনর্বিন্যাস এবং আসন সংরক্ষণের কাজ শেষ করে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। সব জেলা শাসককে চিঠি দিয়ে আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সীমানা পুনর্বিন্যাস এবং ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আসন সংরক্ষণের কাজ শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।
পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আগামী সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে সব জেলা শাসকদের নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, এই কাজ সারার পর পরিবর্তিত তালিকার ভিত্তিতে হয় নির্বাচন।
সব মিলিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে গেলে কিছু জায়গায় অতিরিক্ত সময় লাগে, ফলে সমগ্র নির্বাচন প্রক্রিয়া পিছিয়ে দিতে হয় অনেক সময়। তাই এবার কিছুটা সময় হাতে নিয়েই তাঁরা এই কাজ করতে শুরু করেছে।
আর এই থেকেই কার্যত ইঙ্গিত মিলছে যে ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসছে। আগামী বছর এপ্রিল মাস পর্যন্ত বর্তমান পঞ্চায়েতগুলির মেয়াদ রয়েছে। তার মধ্যে ভোট প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে কমিশনকে।
উল্লেখ্য রাজ্যে বর্তমানে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ৪৮ হাজার ৬৩৬ টি, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৯ হাজার ২১৪ টি এবং জেলা পরিষদে ৮২৪ টি আসন রয়েছে। প্রতি ১০ বছর অন্তর আসন সংরক্ষণ এবং সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ করা হয়ে থাকে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় ইঙ্গিত ছিল যে মে-জুন মাসে ভোট হলে ভোটারদের গরমে কষ্ট হয়। তাই সেই মাসে ভোট না হয়ে এপ্রিলে হতে পারে। যদিও এপ্রিল মাসেও গরম যে খুব কম থাকে না নয়। অন্যদিকে, মার্চ মাস মূলত পরীক্ষার মাস। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এই মাসেই হয়। তাই মার্চ, এপ্রিল বাদ দিয়ে পড়ে থাকে ফেব্রুয়ারি। তাই এই মাসেই ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।