একের পর এক নেতা মন্ত্রীর গ্রেফতার নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী

এই মুহূর্তে রাজ্য জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের একাধিক নেতা মন্ত্রীর। এর পাশাপাশি এই একাধিক দুর্নীতির অভিযোগের পরিস্থিতির মাঝেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও রাজ্যের হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডল ইডি-সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে রয়েছেন জেলে। তা নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এর আগে একসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল নারদা মামলায়। তখনও ব্যাপক প্রতিবাদ দেখিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এবার আবার তিনি তাঁর গ্রেফতারির আশঙ্কা করলেন। একই সঙ্গে বোঝাতে চাইলেন যে পুরো বিষয়টিই ষড়যন্ত্র।

গতকাল সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে যদি দেখেন যে গ্রেফতার করা হচ্ছে বা অনেক কিছু পাওয়া যাচ্ছে, তাহলে বুঝতে হবে বিষয়টি সাজানো। এখন বিজেপির টাকায় চলছে সব।

তাঁর কথায়, মিডিয়া ট্রায়াল চলছে, যা দেখানো হচ্ছে জানতে হবে সব পূর্ব পরিকল্পিত। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মন্তব্য করেছিলেন যে, ফিরহাদ হাকিমকে এবার ভিতরে ঢোকাতে হবে। সেই মন্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। তার অবশ্য পাল্টা দিয়েছিলেন খোদ ফিরহাদই। জানিয়েছিলেন, তিনি জেলে যেতে ভয় পান না।

এদিন মমতা আবার মেয়ো রোডের সভা থেকে একে একে ধৃতদের নাম নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেন। কটাক্ষ করে বলেন, পার্থ, ববি, অরূপ, অভিষেক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাই চোর আর বিজেপি কি সাধু পুরুষ? এই নিয়ে জীবন চলবে না। পাশাপাশি তাঁর এও বক্তব্য, পার্থ-কেষ্ট চোর কি না, তা আইন বলবে। প্রসঙ্গত, আজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ২৪ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা ছিল।