বাড়তে থাকা করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে কড়া হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

এইমুহুর্তে রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি ফিরে আসছে আবার আগের পরিস্থিতি। চিন্তা বাড়ছে রাজ্যের বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা এবং তার নয়া প্রজাতি ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তের কারণে ইতিমধ্যেই বঙ্গে কোভিড বিধি আরোপ করেছে নবান্ন। একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে সকলকে সচেতন থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। আরও কড়া বিধিনিষেধের হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন তিনি বলেন, অনেকেই কথা শুনছেন না, মাস্ক পরছেন না। রাস্তায় মাস্ক ছাড়া ঘুরছেন, শুধু কোথাও খেতে যাওয়ার আগে বা ঢোকার আগে মাস্ক পরে নিচ্ছেন নাহলে ঢুকতে পারবেন না। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, বাংলার করোনা গ্রাফে যদি আগামী কয়েকদিনে উন্নতি না হয় তাহলে আরও কড়া বিধিনিষেধ আরোপ হতে পারে। মমতার কথায়, আগামী ১৫ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এই সময় ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এ জোর দিতে হবে। তবে পরিস্থিতি খারাপ হলে যে আরও কড়া নিয়ম লাগে করবে সরকার তা আজ একদম স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এছাড়াও থেকে সকলকে সচেতনতার বার্তা দিয়েছেন তিনি। মমতা অনুরোধ করে বলেন, হাতে গ্লাভস পরুন। গ্লাভস না থাকলে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। ছেলেরা যদি বাজারে বা কোথাও বেরোন তাহলে টুপি পরুন, মেয়েরা কাপড় দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। তবে এই পরিস্থিতিতেও গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে ইতিবাচক রাজ্য সরকার। আজ মুখ্যমন্ত্রীর কথা থেকেও তা পরিষ্কার। যদিও তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি বিচারাধীন তাই এখনই কিছু বলবেন না এই ব্যাপারে।

সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, অনেকেই দেখছি কথা শুনছেন না৷ মাস্ক পরছেন না৷ কোভিড বিধি সঠিক ভাবে মেনে চলতে হবে৷ মাস্ক পড়ুন, ছেলেরা মাথায় টুপি পড়ুন, সকলে হাতে হ্যান্ড গ্লাভস পরুন৷ আন্তরাজ্য সীমান্তে আরটিপিসিআর বাধ্যতামূলক৷ মোট ৪০৩টি কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়েছে৷ কোভিডের জন্য ২৯৪টি হাসপাতাল চিহ্নিত করা হয়েছে৷  মুখ্যমন্ত্রী জানান, গত সাত দিনে ৪৫ হাজার ৪১৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন৷ ৩ দিন জ্বর থাকছে৷ ৭ দিন আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র৷

Leave a Reply