এই মুহূর্তে অন্যতম রাজনৈতিক দল হলো বিজেপি, যা এই সময় দেশের সবচেয়ে বড়ো ধনি রাজনৈতিক দলের জায়গা করে নিয়েছে৷ ফলে তাঁদের খরচের বহরও তেমনই৷ চলতি বছর পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে ক্ষমতা দখলে কোনও কার্পণ্য করেনি কেন্দ্রের শাসক দল৷ সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এই পাঁচ রাজ্যে তাঁদের খরচের খতিয়ান৷ পশ্চিমবঙ্গ, অসম তামিলনাড়ু, কেরল এবং পুদুচেরি-এই পাঁচ রাজ্যে ভোটের জন্য বিজেপি খরচ করেছিল ২৫২ কোটি টাকা ২ লক্ষ ৭১ হাজার ৭৫৩ টাকা৷ তার মধ্যে শুধু বাংলার জন্যেই খরচ হয়েছে ১৫১ কোটি টাকা৷
প্রসঙ্গত, প্রতিটি রাজনৈতিক দলকেই তাঁদের খরচ নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হয়৷ পাঁচ রাজ্যে ভোটের মোট খরচের ৬০ শতাংশই বিজেপি ব্যয় করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে৷ সেখানে বাকি চার রাজ্যের জন্য বিজেপি খরচ করেছিল ১০১ কোটি টাকা৷ একুশের নির্বাচনে বাংলাই ছিল বিজেপি’র পাখির চোখ৷ ঢাকে কাঠি পড়তেই বাংলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল গেরুয়া শিবির৷ বাংলার নিত্যযাত্রী হয়ে উঠেছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা৷ পালা করে বাংলায় সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি জেপি নাড্ডারা৷ এসেছেন যোগী আদিত্যনাথ সহ আরও অনেক নেতৃতা৷ বাংলাজুড়ে রথযাত্রা করেছে গেরুয়া শিবির৷ সর্বত্র ভরে উঠেছিল বিজেপি’র পোস্টার ব্যানারে৷ কিন্তু এত খরচের পরেও বাংলা হাতে আসেনি৷ বরং জুটেছে বিরোধী দলের তকমা৷
পশ্চিমবঙ্গের পর ক্ষমতা ধরে রাখতে বিজেপি সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে অসমে৷ ৪৩ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা খরত করা হয়েছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের জন্যে৷ তবে অসমে খরচ সার্থক হয়েছে৷ ৭৫ আসন দখল করে ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে গেরুয়া শিবির৷ কেরল থেকে বামেদের উৎখাত করতে ২৯ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা খরচ করেছিল বিজেপি৷ কিন্তপ দক্ষিণী এই রাজ্যে খাতাই খুলতে পারেনি পদ্ম শিবির৷ তামিলনাড়ুতে এখন ক্ষমতায় রয়েছে ডিএমকে৷ এই রাজ্যে ২২ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা খরচ করেও ক্ষমতায় আসতে পারেনি কেন্দ্রের শাসক দল৷ সবচেয়ে কম খরচ হয়েছে পুদুচেরীর জন্য৷ ৪ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা খরচ করেই ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে দল৷