মহানরীর বুকে এখন একটাই নাম পার্থ- অর্পিতা। ঘুরছে একাধিক প্রশ্ন। গত সপ্তাহে টালিগঞ্জের ফ্লাট থেকে ২২ কোটি, গতকাল অর্থাৎ বুধবার বেলঘড়িয়ার ফ্লাট থেকে প্রায় ২৮ কোটি। সব মিলিয়ে নগদ টাকার অঙ্ক ইতিমধ্যেই পার করেছে ৫০ কোটির গন্ডি।
সঙ্গে সোনার বাট, বিপুল পরিমাণ সোনার গয়না, সম্পত্তির একাধিক দল্লিল তো আছেই। এতকিছুর পরেও অর্পিতার দেওয়া তথ্যে এখনো খোঁজ মিলছে একের পর এক সম্পত্তির। খবর, অর্পিতার দেওয়া তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে কলকাতায় অর্পিতার মালিকানায় মোট ৩২ টি ফ্ল্যাট রয়েছে ‘অপা’ জুটির।
পাশাপাশি কলকাতার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা যেমন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, বীরভূম, শান্তিনিকেতনে বাগানবাড়ি, ‘বিশ্রামাগার’ তো রয়েছেই। এর মাঝেই খোঁজ মিলল বানতলা এলাকার দশ বিঘা জমির।
এলাকাবাসীদের দাবি, ২০১৮ সালে ওই জমি অর্পিতা মুখোপাধ্যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে কিনেছিলেন। জমিটি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বলেই জানেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বর্তমানে জমিতে দেওয়াল দিয়ে ঘিরে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে পার্থ-অর্পিতার। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বানতলার চর্ম নগরের ওই দশ বিঘা জমি নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ওই দশ বিঘা জমির দুটি দলিলের হদিশ মিলেছে। জমিটি আড়াই বিঘা এবং সাড়ে সাত বিঘায় ভাগ করা রয়েছে ওই দুই দলিলে। জানা যাচ্ছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কসবার ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্টের নামে ওই জমি কেনা হয়েছিল।
দলিলে সে কথাই লেখা রয়েছে। তবে সবথেকে চাঞ্চল্যকর বিষয় হল এই জমির ঠিক পাশেই আরও এক তৃণমূল নেতার বাগানবাড়ি রয়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে আলোচনার বানতলার এই জমি।
প্রসঙ্গত বানতলার আগে বারুইপুর, বীরভূম এবং শান্তিনিকেতনেও বেশ কিছু বাড়ি এবং জমির সন্ধান মিলেছে যা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে কেনা। জানা যাচ্ছে দিন কয়েক আগেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বারুইপুরের বাগানবাড়িতে নিজের মাকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বাড়িটিতে আবার বুধবার মধ্যরাত্রে হানা দেয় একদল দুষ্কৃতী। ফলে সব মিলিয়ে সময় যত এগোচ্ছে ততই একে একে সামনে আসছে ‘অপা’ সম্পর্কিত একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।