উল্টোডাঙা স্টেশনের কাছে একটি আবাসনের ঘড়ে এক কিশোরী তাঁর পোষা কুকুরের সঙ্গে খেলতে খেলতে হঠাৎই নীচে পরে যায়। পরে তাঁকে ই এম বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে এটি আসলেই আত্মহত্যা, নাকি দুর্ঘটনা তা এখনও পুরোপুরি ভাবে জানা যায়নি। তবে ঘটনাটি যেভাবে ঘটেছে সেটিকে দেখে পুলিশ দুর্ঘটনা বলেই মনে করছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছেন, ওই কিশোরী সেই কুড়িতলার একটি ফ্ল্যাটটিতে তাঁর বাবা, মা, ঠাকুরদা ও ঠাকুরমার সঙ্গে থাকত। সে নিউ টাউনের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ওই কিশোরীর পরিবারের লোক তাঁকে ডাকা ডাকি করলে কোন সারা না পাওয়ায় তাঁকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে।পরে আবাসনের নীচে নেমে সকলে মিলে খোঁজাখুঁজি শুরু করতেই দেখে কিশোরী নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে।
তবে তদন্তকারীদের অনুমান, কুকুরের সঙ্গে খেলতে গিয়ে ওই কিশোরী কোনও ভাবে জানলার কার্নিসে উঠে যায়। তার পরে বেসামাল হয়ে আবাসনে গ্রিল না থাকায় কিশোরী কার্নিস থেকে সোজা নীচে গিয়ে পড়ে এবং সে যেখানে পরে তাঁর ঠিক উপরেই তাদের ফ্ল্যাটের জানলা। তবে এখনও রীতিমতো ঘটনার তদন্ত চলছে।