সদ্দ্য মাত্রই তোলপাড় হয়েছিল বিধানসভা প্রাঙ্গন। এই ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে চলছে মামলা। বিধানসভায় গন্ডগোলের অভিযোগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ ৭ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে বিজেপি বিধায়করা মামলা করেন কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই বিধানসভার অধ্যক্ষের হলফনামা তলব করা হল। আগামী সোমবারের মধ্যে হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ।
এদিন আদালতে বিজেপির পক্ষের আইনজীবীকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কেন বিধানসভার স্পিকারের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগের হস্তক্ষেপ চাইছেন। সেই প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির আইনজীবী জানান, আইন মেনে সাসপেন্ড করা হয়নি। অন্যদিকে এই সাসপেনশনের ফলে যারা বিধায়কদের ভোট দিয়ে পাঠিয়েছে তাদের কথা কী করে বলা হবে আইন সভায়, এই প্রশ্ন রাখেন তিনি। এদিকে, রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল সুমেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শুধু এই সেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। এরপরেই বিধানসভার স্পিকারকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই মামলার পরবরতী শুনানি ৫ মে।
আসলে আদালতে বিজেপির আইনজীবী দাবি করেছেন যে, যে সাতজন বিজেপি বিধায়ক সাসপেন্ড হয়েছেন তাদের ৫ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই বক্তব্যের পাল্টা দেন এজি। তাঁর অভিযোগ, মিথ্যে প্রচার করা হচ্ছে। বিধায়কদের শুধুমাত্র এই সেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি বাজেট অধিবেশনের শেষদিন তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে বিধানসভায়। একাধিক নেতারা আহত হন। সেই কাণ্ডের প্রেক্ষিতেই বিজেপির বিধায়করা সাসপেন্ড হন।