আচমকাই বড় অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর

গত বছর একটু অন্যভাবে শুরু হয়েছিল বিধানসভা নির্বাচন। ২০২১ বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে চিরাচরিত ভবানিপুরে না দাঁড়িয়ে নন্দীগ্রামে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম থেকেই এই কেন্দ্র নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছিল। প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাধা দেওয়া, তাঁর চোট পাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। পুরো ভোটের সময় মমতাকে হুইল চেয়ারে দেখা যায়। এবার সেই নন্দীগ্রাম ইস্যুতেই আরও বিস্ফোরক দাবি করলেন তিনি। মমতার অভিযোগ, নন্দীগ্রামে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল! আজ রাজ্য বিধানসভায় তাঁর ভাষণে এই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন রাজ্যপালের ভাষণের উপর বলতে উঠে মমতা জানান, তাঁকে ভোটে প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। নন্দীগ্রামে তাঁকে হারাতে সমঝোতা করা হয়েছিল। এমনকি তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর মতো ঘটনাও নাকি ঘটে। যদিও কে বা কারা এর সঙ্গে জড়িত বলে তিনি মনে করেন, সেই বিষয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুই জানাননি। তবে তিনি এটুকু বলেছেন যে, যারা এই ষড়যন্ত্র করেছিল তাদের উচিত এখন মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া। প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে মাত্রই ১ হাজার ৯৫৬ ভোটে পরাজিত হন মমতা। কিন্তু সেই ফলাফল নিয়ে এখনও বিতর্ক রয়েছে বটে। প্রথমে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল মমতাকেই। পরে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক পর শুভেন্দু অধিকারীকে বিজেতা ঘোষণা করা হয়।

মমতার এই বক্তব্যের অবশ্য পাল্টা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, নন্দীগ্রামে হারের যন্ত্রণা মুখ্যমন্ত্রী ভুলতে পারছেন না! তাই বার বার এই ধরণের কথা বলে যাচ্ছেন তিনি। মমতা যদি মনে করেন কোনও সমঝোতা বা ষড়যন্ত্র ছিল তাহলে তিনি নিজেই তদন্ত করাতে পারেন এই বিষয়। এছাড়া শুভেন্দু আরও জানিয়েছেন, বর্তমান তৃণমূল সরকার বিধানসভা, রাজ্যের মানুষ সকলকে অবজ্ঞা করে। তাদের আচরণ হিটলার-মুসোলিনির মতো। তিনি জানিয়েছেন, প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের স্মৃতিচারণের সুযোগ দেওয়া হয়নি বিরোধী বিধায়কদের। তৃণমূলের একটাই পোস্ট, মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট, তিনি নজরুল মঞ্চে দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করবেন তাই দু’মিনিটে বিধানসভা শেষ হয়েছে এখানে। এমনই কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী।