হাঁসখালির ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য। এই নিয়ে আজ এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল আদালত। স্পষ্ট জানান হয়েছে, হাঁসখালি নির্যাতিতার পরিবার ও সাক্ষীদের নিরাপত্তার যাবতীয় ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকে। আদালতের নির্দেশ, সুপ্রিম কোর্টের ২০১৮ সালের ‘সাক্ষী নিরাপত্তা স্কীম’-এর নির্দেশ যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর করতে হবে। যত দিন না তাই করা যাচ্ছে ততদিন রাজ্যেকে নির্যাতিতার পরিবার ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। পাশাপাশি রাজ্যকে দায়িত্ব নিতে হবে পরিবারের মানসিক সুস্থতার এবং কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করার।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য তোলপাড়। একাধিক নমুনা মিলেছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রমাণও মিলছে। তবে বিজেপি সম্পূর্ণ অন্য দাবি করে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং প্রতিনিধি দলের সদস্যরা দাবি করেছে যে, ধর্ষিতা নাবালিকাকে জ্যান্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাদের দাবি, নাবালিকাকে গণধর্ষণের পর কার্যত ১০০ মানুষ ওই নাবালিকার বাড়ি ঘিরে ধরেছিল। জোর করে তাকে তুলে নিয়ে শ্মশানে দাহ করে দেয় তারা। যদি এই দাবি সত্যি হয় তবে অবশ্যভাবে নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তা প্রয়োজন। আর যদি এমনটা নাও হয়, তবুও যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে তারা যাচ্ছে তাতে তাদের সহায়তা প্রয়োজন। তাই রাজ্যকে এই কড়া নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিকে আবার আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, পুলিশের করা এফআইআরে নির্যাতিতার বাবার নাম আছে! এছাড়া আছে পরিবারের এক জন ও দুই প্রতিবেশীর নাম। এই শুনে তাজ্জব হয়ে যান ধর্ষিতার মা। সিবিআই গোয়েন্দারা যখন তাঁকে এই তথ্য দিয়েছেন তখন কার্যত তাদের কথা বিশ্বাস করতে পারেননি হাঁসখালি নির্যাতিতার মা। তিনি তাদের খুব স্পষ্ট ভাবেই জানান যে, এ ব্যাপারে তাঁর কিছু জানা নেই। তিনি কখনই তাদের নাম পুলিশকে বলেননি।