চাকরিতে নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ আজ বহুদিনের, প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক দুর্নীতির তথ্য। এই পরিস্থিতিতে এবার চাকরিপ্রার্থীদের পাশে দাঁড়ালো কলকাতা হাইকোর্ট। চাকরিপ্রার্থীদের পাশে থেকে রাজ্য সরকার এবং এসএসসি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল। আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, উদাসীনতা ও গাফিলতির দায় সরকার এবং এসএসসি’কেই নিতে হবে। চাকরিপ্রার্থীদের ওপর কোনও রকম দায় চাপানো যাবে না। নিয়োগ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে এমনই পর্যবেক্ষণ আদালতের।
২০১৬ সালে নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মেধাতালিকা প্রকাশ হয় ২০১৮ সালের জুন মাসে। কিন্তু এরপর অভিযোগ উঠতে শুরু করে যে, মূলত স্কুল সার্ভিস কমিশনের একাধিক ভুলের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে যায়। চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, এই কারণেই তাদের বারবার আদালতের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে। এসএসসি স্বচ্ছভাবে কাজ না করায় তারা যোগ্য চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
মামলাকারী কমল কবিরাজ, সঞ্জয় মাহাতো সহ বেশ কিছু চাকরি প্রার্থীর পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতে জানান, চাকরি প্রার্থীরা যেদিন থেকে বিবেচিত হয়েছে,সেদিন থেকেই তারা বেতন পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু তারা পাচ্ছে না এবং এর জন্য দায়ি সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের উদাসীনতা ও গাফিলতি। এই পরিপ্রেক্ষিতেই বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় নির্দেশ দিয়েছেন যে, রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনেকে অবিলম্বে এই বিষয়টি সমাধান করতে হবে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে গোটা বিষয় নিয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে।