সংক্রমণ নিয়ে রাজ্যগুলিকে সতর্কতা কেন্দ্র সরকারের দ্বারা

এইমুহূর্তে দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে মিলছে স্বস্তি, কিন্তু আবার চিন্তা বাড়ছে সংক্রমণের নতুন রূপ নিয়ে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা কাটিয়ে উঠে এখন সুস্থতার পথে দেশ। দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যু আপাতত নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। কিন্তু চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা এখনও যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে ভারতে করোনার নয়া প্রজাতি ‘এক্সই’ ধরা পড়েছিল বলে গুজব ছড়িয়েছিল। কেন্দ্র স্পষ্ট জানিয়েছে যে, সেটি ভুল তথ্য। তবে এই মুহূর্তে স্বস্তি মিললেও যে কোনও দিন এই প্রজাতি ভারতে ঢুকে পড়তে পারে বলেই আতঙ্ক। তাই আগে থেকে পদক্ষেপ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই কোভিড চতুর্থ ঢেউ নিয়ে পাঁচ রাজ্যকে সতর্ক করেছে তারা।

ভারত না হলেও প্রতিবেশী চিনে করোনার ভয়ঙ্কর অবস্থা হয়ে রয়েছে। এছাড়াও ব্রিটেন, জার্মানি সহ ইউরোপের একাধিক দেশে করোনার বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে। তাই ভারত সরকার কোনও রকম ঝুঁকি নিতেই চাইছে না। এখানেও যে পরিস্থিতি যে কোনও সময়ে খারাপ হতে পারে সেই আশঙ্কা করেই কেরল, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, মিজোরাম, হরিয়ানা, এই পাঁচ রাজ্যকে সতর্ক করেছে তারা। গোটা দেশের মধ্যে কয়েকটি রাজ্য এখনও করোনা আক্রান্তের শীর্ষের দিকেই রয়েছে। তাই তাদের সতর্ক করে চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। রাজ্য সরকার যাতে সর্বদা নজরদারি চালায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে, এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে এই চিঠিতে। কোন কোনও বিষয়ে তারা নজর দেবে সেটাও উল্লেখ করে দিয়েছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানাচ্ছে, কোভিড বিধি তো বটেই, টিকাকরণ, টেস্টিং, ট্র্যাকিং এবং ট্রিটমেন্ট, এই পাঁচটি বিষয়ের দিকে বেশি নজর দিতে হবে।  

ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, আগামী রবিবার অর্থাৎ ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে সকলের জন্য বুস্টার টিকাকরণ। ১৮ বছর হলেই সে এই টিকা নিতে পারবে ষাটোর্ধ্ব এবং চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের মতোই। যদিও এই বুস্টার ডোজ নিতে গেলে আগের দুটি ডোজের টিকা নিতে হবে। আর দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়ার ৯ মাস পর এই বুস্টার ডোজের টিকা নেওয়ার নিয়ম বলেই জানান হয়েছে। এর পাশাপাশি এখন যেমন প্রথম এবং দ্বিতীয় কোভিড টিকা দেওয়ার কাজ চলছে তা তেমনই চলবে।