তার আকস্মিক মৃত্যুতে, এখনও স্তম্ভিত অনেকেই। আচমকাই মাত্র ৪২ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রী তথা বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাটের। জানা গিয়েছিল, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। কিন্তু ক্রমশই এই মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রথম থেকেই ষড়যন্ত্রের দাবি করে আসছে সোনালির পরিবার। তাঁদের অভিযোগ ছিল, খাবারে বিষ মিশিয়ে সোনালিকে খুন করা হয়েছে। এবার আরও বড় দাবি করা হল। সোনালির পরিবারের বক্তব্য, ধর্ষণ করে বিষ খাইয়ে খুন করা হয়েছে তাঁকে।
ইতিমধ্যেই সোনালিকে ধর্ষণ ও খুনের দায়ে তাঁরই আপ্ত-সহায়ক সুধীর সাঙ্গোয়ান এবং বন্ধু সুখবিন্দর ওয়াসিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোনালির পরিবার আগেই দাবি করেছিল যে এই দুজনেই তাঁকে ধর্ষণ করেছে। এই বিষয়ে সোনালির ভাই বলেন, সোনালি শ্যুটিং করার জন্য গোয়া গিয়েছিলেন।
শ্যুটিং হওয়ার কথা ছিল ২৪ আগস্ট, ২৭ তারিখ তাঁর ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু ২২ আগস্ট সোনালি ফোন করে বাড়িতে জানান, খাবার খেয়ে অস্বস্তি বোধ করছেন। তারপরেই তাঁর মৃত্যু হয়। এখানেই তাঁর ভাইয়ের প্রশ্ন, শ্যুটিং ২৪ আগস্ট হলেও কেন হোটেলের রুম ২১ এবং ২২ আগস্ট বুক করা হয়েছিল?
এই ব্যাপারটি নিয়েই মূল সন্দেহ সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে সোনালির বোনের বক্তব্য, তাঁর দিদির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তাঁর অনুমান, সোনালি নিজেই সন্দেহ করেন, তাঁর খাবারে কিছু মেশানো হয়েছিল। ষড়যন্ত্রের আঁচও হয়তো তিনি পেয়েছিলেন।
সবথেকে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ন্য একটি বিষয় নিয়েও। জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের সময় সোনালির শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান তদন্তকারী দল। ভোঁতা কোনও অস্ত্র দিয়ে তাঁকে বহুবার আঘাত করা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হতে পারছে না পুলিশ। তবে দুজনকে জেরা করে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে তাঁরা।
সোনালি ফোগাটের পরিবার সূত্রে খবর, মৃত্যুর ঠিক কয়েক মুহূর্ত আগে একটি রেস্তরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন তিনি। গোয়ার অঞ্জুনাতে ‘কার্লিস’ নামে একটি রেস্তরাঁয় খাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়ই তাঁর শরীর আনচান করতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে দলের কর্মীরাই তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যায়। যেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।