সকালের নাস্তা সবসময় পুষ্টিকর হওয়া উচিত। আপনি যত বেশি পুষ্টিকর খাবার খান, আপনি সারা দিন তত সতেজ থাকতে পারবেন। আপনি অনলস থাকতে পারেন। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষেরই সকালের নাস্তা খেতে অনীহা। সকালের তাড়াহুড়ায় না খেয়েই বেরিয়ে পড়লেন। কেউ কেউ নাকে-মুখে কিছু একটা খেয়ে বের হয়ে যায়। ওজন কমাতে অনেক সময় নাস্তা করেন না। এই ধরনের অভ্যাস আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভালো নয়। দিনের পর দিন সকালের নাস্তা না করলে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। সেগুলো কী-কী, দেখে নিন।
১) সকালের নাস্তা বাদ দিলে ওজন বাড়তে পারে। ওজন নিয়ন্ত্রণের প্রথম শর্ত হলো সময়মতো খাওয়া। আর সকালের নাস্তা কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকা হজমের স্বাস্থ্য ব্যাহত করে এবং শরীরের উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার প্রয়োজন। তারপর ক্ষুধা মেটানোর জন্য চর্বিযুক্ত এবং চিনিযুক্ত খাবার খেয়ে ফেলেন। এতে ওজন বাড়ে।
২) আজকাল প্রতিটি বাড়িতে একজন করে ডায়াবেটিস রোগী দেখতে পাবেন। খাওয়া-দাওয়াও এর জন্য দায়ী। বিশেষ করে সময়মতো সঠিক খাবার না খাওয়া। সকালের নাস্তা বাদ দিলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকালের নাস্তা খেতে ভুলবেন না।
৩) সকালের নাস্তায় এমন খাবার থাকতে হবে, যা শরীরে পুষ্টি জোগাবে। সকালের নাস্তা না করলে শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি দেখা দেয়। তখনই শরীরে নানা রোগ আসে।
৪) সকালের নাস্তা না করার কারণে মেটাবলিক সিন্ড্রোম হয়। সকালের নাস্তা না খেলে হজমের সমস্যা হয়। পেট ফাঁপা, বদহজম, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায় এবং ওজন বৃদ্ধি পায়।
৫) প্রাতঃরাশ বাদ দিলে ভবিষ্যতে ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে। শুনে অবাক হলেন? ঠিকমতো না খেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যা। স্মৃতিশক্তি হ্রাস, চিন্তা করতে অসুবিধা, সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষমতার মতো একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।