পূর্বেই ঘোষণা করা হয়েছিল যে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে যাবে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। তাই আজ শহর কলকাতার একাধিক রাস্তায় কড়াকড়ি। এরই মাঝে অভিযানকে ঘিরে ধুন্দুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যের বিক্ষিপ্ত জায়াগায়।
সাঁতরাগাছি যাওয়ার পথে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে আটকানো হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে৷ আলিপুর পুলিশ লাইনের সামনে বাধা দেওয়া হয় তাঁকে৷ তাঁর সঙ্গে রয়েছেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও৷ এর পরেই পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় কথাকাটি৷ পুলিশের ব্যারিকেট চাপড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হায় হায় বলে স্লোগান তোলেন তাঁরা৷
শুভেন্দু বলেন, বিরোধী দলনেতা এবং সংসদের একজন সদস্যকে এভাবে আটকানো যায় না৷ বাংলাকে দক্ষিণ কোরিয়া বানিয়েছে লেডি কিম৷ কীসের এত ভয়, খোঁচা দেন লকেটও৷ তাঁদের কথায়, ‘ভয় পেয়েছেন মমতা, জেনে গেছে জনতা৷’ এর পরেই শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রাহুল সিন্হাকে আটক করে পুলিশ। প্রিজন ভ্যানে করে লাল বাজারে নিয়ে যাওয়া হয় বিরোধী দলনেতাকে৷
এদিকে, নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে পড়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নবান্ন অভিযানে পুলিশের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি তো অবাক হয়ে যাচ্ছি পশ্চিমবঙ্গে এত পুলিশ এল কোথা থেকে! কয়লার গাড়ি, গরুর গাড়ি যাচ্ছে তখন পুলিশ দেখা যায় না।“