বীরভূমে কালীপুজো নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন

এই মুহূর্তে গরুপাচার কাণ্ডে আষ্টে পৃষ্টে জড়িয়ে পড়েছেন কেষ্ট, রয়েছেন জেল হেফাজতে৷ একাধিক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে৷ তিনি ছিলেন বীরভূমের বেতাজ বাদশা৷ ভোটের ময়দান থেকে পুজোর মণ্ডপ, সব কিছুর সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে একটি নাম অনুব্রত মণ্ডল৷ তবে এবারে তাঁর দুর্গাপুজো কেটেছে গারদের পিছলে৷ কালীপুজোতেও মুক্তির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

ফি বছর অনুব্রতর কালী পুজোর জৌলুস থাকে চোখে পড়ার মতো। নিজের হাতে সোনার গয়নায় মাকে সাজান বীরভূমে তৃণমূল জেলা সভাপতি। এক-আধটা নয়, কয়েকশো ভরি গয়নায় মাতৃ প্রতিমাকে সাজান কেষ্ট৷ ২০২০ সালে প্রায় ৩০০ ভরি সোনার গয়নায় সাজানো হয়েছিল মাকে। গত বছর মা কালীকে সাজানো হয়েছিল ৫৭০ ভরি গয়নায়।

শোনা যায়, কেষ্টর পুজোয় জেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা এই গয়না দিতেন। আর কেষ্ট সেগুলো নিজের হাতে পরিয়ে দিতেন মায়ের গায়ে। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল৷ তাই অনেকে ব্যবসায়ীই এবার গয়না দিতে চাইছেন না৷ তা দেখে অনেকেরই প্রশ্ন, তবে কি ভয়েই গয়না দিতেন ব্যবসায়ীরা?

জানা গিয়েছে, এই বছর অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে মাকে গহনা পরাবেন রেবতী রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সহকারী পুরোহিত। এছাড়াও এই বছর সিদ্ধান্ত জেলা কমিটির সদস্য ও শাখা সংগঠন মিলিয়ে মোট ১৫০ জনের থেকে ১০০০ টাকা করে চাঁদা তোলা হবে৷ অর্থাৎ এবার পুজোর বাজেট দেড় লক্ষ টাকা। সাধারণের প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনও আপত্তি থাকবে না।