বাগুইহাটি কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য, হত্যার জায়গায় একাধিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট পেল সিআইডি

আবার একবার উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি বাগুইহাটিতে। বাগুইহাটির দুই ছাত্রকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে গোটা শহরে। শামিম আলি, শাহিন আলি, দিব্যেন্দু দাস নামে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে বাগুইআটির দুই ছাত্রকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় পুলিশের ওপর ক্ষোভ বাড়ছে। এই ঘটনার মূলচক্রী সত্যেন্দ্র এবং আর এক জন ফেরার।

এই খুনের ঘটনায় তদন্ত পুরোদমে শুরু করে দিয়েছে সিআইডি। এদিন খুনে ব্যবহৃত গাড়িটি পরীক্ষা করে তারা, সঙ্গে ছিল ফরেনসিক দল। জানা গিয়েছে, ওই গাড়ি থেকে ৭টি পৃথক আঙুলের ছাপ পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের ওপরে লাগানো বিভিন্ন সিসিটিভি ক্যামেরার ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে। এই গাড়িটিতেই বাগুইআটির ২ কিশোর অতনু দে ও অভিষেক নস্করকে খুন করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, সাট্টা খেলতে গিয়ে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্রর কাছে কয়েক হাজার টাকা ঋণ নেয় দুই কিশোর। ইচ্ছা ছিল বাইক কেনার। সত্যেন্দ্রর বাইকের পার্টস আর সার্ভিসের দোকান ছিল। আর চার চাকা গাড়িটি সে ভাড়া নিয়েছিল বলেই জানা গিয়েছে।

তাই সিআইডির পক্ষে ওই ৭টি পৃথক আঙুলের ছাপ আদতে কার কার সেটা বের করতে বেগ পেতে হবে কারণ ২৩ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই ভাড়ার গাড়ি আরও অনেকে ব্যবহার করে থাকতে পারেন বলেই মত। সিআইডি এও জানতে পেরেছে, খুনের দিন গাড়িতে অন্তত ৮ জন ছিল।