রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ দুর্নীতি চক্রে জড়িয়েছে নতুন নাম, হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়৷ হৈমন্তীর বেহালার ফ্ল্যাট থেকে খানিক দূরে নোংরার স্তূপ থেকে বেশ কিছু কাগজ, পুরনো ফাইল উদ্ধার হয়েছে। ওই কাগজের মধ্যে দু’টি কাগজে রয়েছে গুচ্ছ সংখ্যার তালিকা৷ মনে করা হচ্ছে, ওই সংখ্যাগুলি চাকরিপ্রার্থীদের রোল নম্বর। কারণ, ওই কাগজে থাকা তালিকার তিনটি সংখ্যার সঙ্গে ২০১৪ সালের তিন টেট প্রার্থীর রোল নম্বরের হুবহু মিল রয়েছে।
শুধু তাই নয়, ২০২২ সালের শেষে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ টেটপ্রার্থীদের নম্বরের যে ‘ব্রেকআপ’ প্রকাশ করেছিল, সেখানেও ওই রোল নম্বর রয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আগেই নাম জড়িয়েছে তাপস মণ্ডল ঘনিষ্ঠ গোপাল দলপতির। সম্প্রতি কুন্তল ঘোষের মুখে উছে আসে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম৷ এই হৈমন্তী হলেন গোপালের দ্বিতীয় ‘স্ত্রী’৷ তাঁর বাড়ির সামনে থেকেই বেশ কিছু কাগজ মিলেছে। সাধারণত যে কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে নয় অঙ্কের রোল নম্বর ব্যবহার করা হয়।
২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পর্ষদ৷ ২০২১ সালে প্রাথমিক শিক্ষকের ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০১৪ এবং ২০১৬ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছিলেন, ২০২১-এ সেই প্রার্থীদেরই নিয়োগ দেওয়া হয়৷। ওই বছরই তাঁদের ইন্টারভিউ হয়। ২০১৪ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছিলেন, কিছু দিন আগে ২০২২ সালে তাঁদের নম্বরের ব্রেক আপ প্রকাশ করে পর্ষদ।