গত দুই বছর করোনার দাপটে নাস্তানাবুদ হয়েছে গোটা বিশ্ব৷ এখনও কমেনি করোনাভাইরাসের চোখরাঙানি৷ বিশ্বজুড়ে এখনও রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনা মহামারীর সংক্রামক ভাইরাস। এরই মাঝে নতুন আতঙ্ক। বিশ্ববাসীর জন্য অপেক্ষা রয়েছে আরও ভয়ঙ্কর বিপর্যয়৷ বলা যেতে পারে অদৃষ্টপূর্ব ধ্বংসলীলার সম্মুখীন হতে চলেছি আমরা৷ অশনি সঙ্কেত দিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেজ।
জলবায়ু বদলের ফলে বিশ্বজুড়ে যে প্রাকৃতিক বিপর্যয় তৈরি হচ্ছে, সেই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করার সময় আসন্ন বিপদের ইঙ্গিত দেন গুতেরেজ৷ ওয়ার্ল্ড মিটিয়োরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন বা ডব্লিউএমও-র নেতৃত্বে একাধিক সংস্থার মিলিতভাবে তৈরি এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, জলবায়ু বদলের কথা বলতে গেলে বলতেই হয়, একেবারে ভুল দিশায় এগিয়ে চলেছে বিশ্ব। কোভিডপর্বে দীর্ঘ লকডাউনের সময় কার্বডাই-অক্সাইডের নিঃসরণ কিছুটা কমেছিল বটে৷ কিন্তু, ২০১৯ সালের প্রথমার্ধের তুলনায় চলতি বছরের প্রথমার্ধে কার্বন ডাই-অক্সাইডের নিঃসরণ বেড়ে গিয়েছি ১.২ শতাংশ।
এই পরিস্থিতি বিবেচনা করেই বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এখন থেকেই কঠোর ভাবে রাশ টানা না গেলে এই শতাব্দীর শেষেই বিশ্বের গড় উষ্ণতা ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে। ২০৫০ সালে পৌঁছে বিশ্বের ১৬০ কোটি মানুষকে বছরে অন্তত তিন মাস ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় বসবাস করতে হবে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রায় বদলে যেতে পারে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের জলবায়ু। ফলে এমন সব ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে, যা কেউ কোনও দিন চোখে দেখেননি।