কয়লা কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডাক পড়েছিল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দিল্লিতে ডাকা হয়েছিল তাদের ইডির তরফে। বুধবার দিল্লির ইডির দপ্তরে তাঁদের হাজিরা দেওয়ার কথা। সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথিও নিয়ে যেতে বলা হয় তাঁকে। গত মাসে ২৮ অগাস্ট দিল্লিতে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি৷ কিন্তু গেলেন না তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী। জানা গিয়েছে, আজ ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করবেন না অভিষেক পত্নী৷ যদিও জানা যায়নি আগামী ৩ তারিখ অভিষেকের দিল্লি যাওয়ার বিষয়টি।
করোনা পরিস্থিতিতে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে তার দু’ই সন্তানকে নিয়ে এবং এত অল্প সময়ের মধ্যে তার দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয়। সেই সমন উপেক্ষা করে এদিন একটি ই-মেলের মাধ্যমে তিনি নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান ইডি আধিকারিকদের। দিল্লির বদলে কলকাতায় তাঁর বাড়িতেই যাতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তাঁর জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আবেদন করেছেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লির বদলে কলকাতায় তাঁর বাড়িতেই যাতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তাঁর জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আবেদন করেছেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইডি-র পাঠানো নোটিশের জবাবে রুজিরা জানিয়েছেন, তিনি একজন মা৷ এই ভাবে স্বল্প সময়ের নোটিশে তাঁর পক্ষে দিল্লি ট্রাভেল করা সম্ভব নয়৷ তাছাড়া তিনি একাও ট্রাভেল করতে পারবেন না। ইডি-র কাছে তাঁর অনুরোধ, চাইলে কলকাতায় তাঁর বাড়িতে এসে কথা বলুক ইডি কর্তারা। এদিকে অভিষেক ও রুজিরাকে দিল্লি তলব নিয়ে ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একহাত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, বাংলায় পরাজয়ের বদলা নিয়ে এজেন্সি ব্যবহার করছে তিনি৷
প্রসঙ্গত, কয়লা কাণ্ডে সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরার জন্য দিল্লি তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই কারণেই চিঠি দিয়ে তাঁদের দিল্লিতে হাজিরা দেওয়ার কথা জানানো হয়। সেই কারণেই বুধবার ১ সেপ্টেম্বর রুজিরা এবং শুক্রবার ৩ সেপ্টেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লির ইডি দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজনীতি করতে গেলে সেটা রাজনীতি করার মতই করা উচিত। রাজনীতিতে পেরে না উঠলেই দিল্লি এভাবে নিজেদের এজেন্সি লেলিয়ে দেয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সিবিআই, ইডি দেখিয়ে তৃণমূলের জয়যাত্রাকে রাখা যাবে না। ভোটের আগে থেকেই কয়লা পাচার নিয়ে সরগরম রাজ্য৷ এমনকী এর আগে কালীঘাটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছেও রুজিরাকে জেরা করেছিল সিবিআই৷ আগামী দিনে তৃণমূলের লড়াই আরও বড় হতে চলেছে।