রাশিয়ার তরফে বড়ো প্রস্তাব এলো ভারতের কাছে

একমাস অতিক্রম করেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময়সীমা৷ অবিরাম গতিতে চলতে থাকা যুদ্ধের মাঝেই বন্ধু ভারতের কাছে বড়ো প্রস্তাব৷ জলের দরে ভারতের কাছে তেল বেচার প্রস্তাব দিল রাশিয়া৷ যা বর্তমান দরের চেয়ে কম তো বটেই৷ বলা ভালো যুদ্ধ শুরুর আগে অপরিশোধিত তেলের যা দাম ছিল, তার চেয়েও কম দামে ভারতকে তেল বেচতে আগ্রহী মস্কো৷ দেখতে গেলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে তেলের বাজারে ফায়দা হবে ভারতেরই৷ 

পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পরেই আমেরিকা সহ ইউরোপের একাধিক দেশ রাশিয়ার উপর গুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে৷ রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে আমেরিকা ও ইউরোপের বহু দেশ৷ অর্থনৈতিক অবরোধের মুখে পড়ে চিনের পাশাপাশি ভারতকেও আরও বেশি করে তেল বেচতে চাইছে রাশিয়া। শোনা যাচ্ছে, ভারত যাতে রাশিয়ার কাছ থেকে আরও বেশি করে তেল আমদানি করতে পারে তার জন্য অনেকখানি দাম কমাতেও রাজি রয়েছে মস্কো। এদিকে, দু’দিনের সফরে ভারতে এসেছেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ৷ নয়াদিল্লির সঙ্গে এ প্রসঙ্গে তাঁর কথাবার্তা হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে৷ 

ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্ববাজারে যেখানে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১৫ ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে, সেখানেই ভারতকে যুদ্ধপূর্বের দামের চেয়েও ব্যারেল প্রতি ৩৫ ডলার কমে তেল বিক্রি করতে চলেছে মস্কো। ফলে অনেক সস্তায় রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনতে পারবে ভারত৷ 
আমেরিকা তেল কেনা বন্ধ করা সত্ত্বেও ভারত যে ভাবে রাশিয়ার থেকে তেল কিনে চলেছে, তাতে হোয়াইট হাউস সরাসরি আপত্তি না জানালেও তাতে ঝুঁকি রয়েছে বলে হোয়াইট হাউসের মত। এদিকে রাশিয়া চাইছে ভারত যেন ১ কোটি ৫ লক্ষ ব্যারেল তেল কেনার চুক্তিতে আবদ্ধ হোক। ইতিমধ্যেই সরকারি স্তরে এই বিষয়ে আলোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ ইউক্রেনের উপরে হামলা শুরু করার পরেই এশিয়ার বাজার ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে মস্কো৷  জানা গিয়েছে, রাশিয়ার তরফে ভারতকে রুবেল-রুপিতে লেনদেনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার মেসেজিং ব্যবস্থা এসপিএফএস ব্যবহার করে এই লেনদেন করা হলে তা ভারতের জন্য লাভদায়কই হবে৷ তবে এই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।