কিয়েভের ওপর বড় আঘাত হানতে চলছে রাশিয়া

দু সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অবিরাম গতিতে চলছে যুদ্ধ৷ কিয়েভের উপর ফের চরম আঘাত হানার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া৷ কিয়েভের দিকে এগোচ্ছে ৪০ মাইল দীর্ঘ রুশ সামরিক বহর৷ যা এখন গোটা বিশ্বের কাছে ‘ডেথ কনভয়’ নামে পরিচিত৷ যে কোনও মুহূর্তে তীব্র আঘাত হানতে পারে পুতিন বাহিনী৷ 

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে কিছুটা হলেও পিছু হটেছিল রুশ ফৌজ৷ কিন্তু ফের কিয়েভের উত্তর-পূর্বে জড়ো হতে শুরু করেছে তারা। উপগ্রহ চিত্রে স্পষ্ট ধরা পড়েছে সেই চিত্র৷ যা দেখে মনে করা হচ্ছে, কয়েক দিনের মধ্যেই কিয়েভে চূড়ান্ত আঘাত হানতে প্রস্তুত মস্কো। শুক্রবার সেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ব্রিটেনও৷ মার্কিন স্যাটেলাইট ফার্ম ম্যাক্সরের প্রকাশিত ছবি অনুযায়ী, রুশ আর্মার্ড ইউনিট কিয়েভের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত হোস্তোমেলের আন্তোনভ বিমানবন্দরের কাছে চলে এসেছে। যুদ্ধের প্রথম দিন থেকেই সেখানে রাশিয়ার প্যারাট্রুপার রয়েছে৷

ম্যাক্সার জানাচ্ছে, উত্তরে লুবিয়াঙ্কার কাছে একাধিক রুশ হাউইৎজারকে ফায়ারিং পজিশনে থাকতে দেখা গিয়েছে৷ এর মধ্যেই সিধুরে মেঘ দেখছে ইউক্রেনের ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস। কিয়েভের গুপ্তচরদের দাবি, ইউক্রেনের চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্রে ‘ম্যানমেড বিপর্যয়ে’র ছক কষছেন পুতিন। বেলারুশ থেকে এক দল ‘স্পেশালিস্ট’কে নিয়ে আসা হয়েছে৷ যাদের দিয়ে জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে৷ বৃহস্পতিবারই চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্রে ঢুকে পড়েছে তারা। 

কিয়েভকে উত্তর, পশ্চিম ও পূর্ব তিন দিক দিয়ে ঘিরে ধরে হামলা শুরু করেছে রুশ বাহিনী। তার অংশ হিসেবেই কিয়েভের দিকে এগিয়ে চলেছে ‘ডেথ কনভয়’। গত দু’সপ্তাহ ধরে জ্বালানি সংকট ও অন্যান্য কারণে রুদ্ধ হয়েছিল ডেথ কনভয়ের গতি৷ ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকোভ জানিয়েছেন, রুশ আক্রমণে প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন দেশের সাধারণ নাগরিক৷ তাঁর কথায়, রুশ জেনারেলরা মার্কিন কৌশলের পরিবর্তে মধ্যযুগীয় যুদ্ধরীতির দিকে ঝুঁকেছেন। যেমনটা সিরিয়ার বিরুদ্ধে করেছিল মস্কো। এদিন সকালেই মধ্য ইউক্রেনের নিপ্রো, পশ্চিমে লুৎস্ক এবং ইভানো-ফ্র্যাঙ্কিভস্কে বিমান হানা চালিয়েছে রাশিয়া। নিপ্রোয় একটি জুতোর কারখানা সহ জনবসতি এলাকায় বোমাবর্ষণ হয়।