বিতর্কের সূত্রপাত হয় ভুল মন্তব্ব্যের জেরে। সেই থেকে তাকে নিয়ে তোলপাড় হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়া। এমনকি ডাক ওঠে বয়কটেরও। এই মুহূর্তে খবরের শিরোনামে সঙ্গীত শিল্পী রুপঙ্কর। প্রখ্যাত বলিউড সিঙ্গার কেকে কে নিয়ে মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত। সেই বিতর্কের পালেই হাওয়া লেগেছিল যখন প্রখ্যাত বাংলা গায়ক রুপঙ্কর ‘হু ইজ কে কে’ প্রশ্ন তোলার পরেই মঙ্গলবার রাতেই অকালপ্রয়াণ হয় কেকের। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কেকের হাজার হাজার অনুগামী ভক্তরা সরব হয়েছেন রুপঙ্করের বিরুদ্ধে। এমনকি রুপংকরের বহু সহকর্মী এবং টলিউডের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও কেকেকে নিয়ে রুপঙ্করের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন। আর এই বিতর্ক সমালোচনার কারণেই এবার রুপঙ্করের হাতছাড়া হতে চলেছে মিয়ো আমোরের বিজ্ঞাপন।
উল্লেখ্য বিগত কয়েক বছর ধরে মিয়ো আমোরের বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলে গলা দিচ্ছেন বাংলা সঙ্গীত জগতের অন্যতম শিল্পী রূপঙ্কর। রুপঙ্করের গলায় মিয়ো আমোরের জিংগেল গানটি ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এতদিন সমস্ত কিছু ভালোই চলছিল কিন্তু বাঁধ সাধলো কেকে কে কেন্দ্র করে বিতর্কিত মন্তব্য। আর সেই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রূপঙ্কর তো বিপাকে পড়েছেনী তার সঙ্গে বিখ্যাত এই কেক সংস্থা মিও আমোরের নামও জড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়কট রূপঙ্কর হ্যাশট্যাগ চলছে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকে এই সংস্থার কাছে রূপঙ্করকে বিজ্ঞাপন থেকে সরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। আর তাতেই সম্প্রতি জবাব দিয়েছে এই কেক সংস্থা।
এক ব্যক্তি ফেসবুকে মিও আমোরেকে ট্যাগ করে লেখেন দয়া করে আপনাদের ব্র্যান্ড থেকে রূপঙ্কর বাগচীর গানটা সরিয়ে দিন। না হলে ক্রেতারা এর পরে এই বেকারি সংস্থা ছেড়ে অন্য কোনো সংস্থার কাছে চলে যেতে পারেন। বলাই বাহুল্য রূপঙ্করের বিতর্কের কারণেই ওই কেক সংস্থাকে এমন উপদেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই ব্যক্তি কমেন্ট করার কিছুক্ষণ পরেই ফেসবুকের কমেন্ট বক্সে মিও আমোরে তরফ থেকেও উত্তর দেওয়া হয়েছে। যাতে লেখা হয়েছে, ‘গায়ক রূপঙ্কর বাগচীর মন্তব্যে আমরা দুঃখিত। রুপঙ্কর যা বলেছেন তার সঙ্গে এই সংস্থার কোন সম্পর্ক নেই এবং আমাদের তরফ থেকে খুব শীঘ্রই পদক্ষেপ নেওয়া হবে এই বিজ্ঞাপনে গানের ব্যাপারে।’ কেক সংস্থার তরফ থেকে এমন কড়া জবাবের পরেই নেটপাড়ায় ফের শুরু হয়েছে কানাঘুষো যে, কেকের বিতর্কের জেরেই এবার মিও আমোরে সংস্থার বিজ্ঞাপন হারাতে চলেছে রূপঙ্কর। বিখ্যাত এই বেকারি সংস্থাও ফেসবুকের কমেন্টে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার সকালে একটি ফেসবুক লাইভে এসে কেকে প্রসঙ্গে রূপঙ্কর বলেন, ‘কেকে নিঃসন্দেহে খুব ভালো গায়ক তবে কেকের মতোই বাংলার অনুপম, সোমলতা, ইমনরা ভালো গান গায়। এমনকি আমিও ভালো গান গাই। কিন্তু বাংলা সংগীত শিল্পীদের নিয়ে দর্শকের তেমন উত্তেজনা নেই। অথচ মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এবং ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সদস্যদের নিয়ে যত মাতামাতি।’ এর পরেই তিনি প্রশ্ন তোলেন ‘হু ইজ কে কে?’ রুপঙ্করের এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় সমালোচনা। কিন্তু সেই সমালোচনার পারদ আরও চড়ে যখন মঙ্গলবার রাতেই খবর পাওয়া যায়ে যে লাইভ অনুষ্ঠানের পরেই অসুস্থ হয়ে প্রয়াত হয়েছেন কেকে। নেটিজেনদের একাংশের মতে, রূপঙ্করের অভিশাপেই এমন অকালপ্রয়াণ হল কেকের। অন্যদিকে অনেকেই বলছেন একজন শিল্পী হওয়া সত্ত্বেও অন্য শিল্পীদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং নিতান্ত সম্মানটুকু করতে জানেননা রূপঙ্কর। আর তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় তো বটেই যে কোনো অনুষ্ঠানেই বয়কট রূপঙ্করের দাবি উঠেছে নেটপাড়ায়। নেটিজেনদের চাপে পড়েই এবার মিও আমোরে সংস্থাও রুপঙ্করের বিরুদ্ধে কঠোর কোনও পদক্ষেপ নিতে চলেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় তারই প্রমাণ মিল্লল এবার।