দেশ ভারত থেকে বহু ভারতীয় শিক্ষার্থী বাইরে যান পড়তে বা কর্মসূত্রের তাগিদে। করোনা আবহেও তা অব্যাহতই রইলো। তাই এই পরিস্থিতিতিতে শুধুমাত্র ভারতীয় শিক্ষার্থীদের টিকাকরণ বাধ্যতামূলক। কিন্তু শিক্ষার্থীদের জন্য চালু হওয়া ব্রিটেনের এক নতুন নিয়ম ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। ঘোষণা করা হয়েছিল যে, ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিন নিলে সে দেশে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে, কারণ ওই ভ্যাকসিন যারা নেবেন তাঁদের ‘আনভ্যাক্সিনেট’ ধরে নেবে প্রশাসন। অবাক করার বিষয়, যে ভ্যাকসিনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বীকৃতি দিয়েছে, তাকে ব্রিটেন প্রশাসন পাত্তা দিচ্ছে না। এই কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম জারির পরই শুরু হয় বিতর্ক। এই নিয়ম সামনে আসার পরেই চরমভাবে প্রতিরোধ করে ভারত।
তবে এবার অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে তৈরি এবং ভারতে সিরাম ইনস্টিটিউটের বানানো ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডকে অবশেষে স্বীকৃতি দিল ব্রিটেন। সারা বিশ্ব থেকে যাঁরাই কোভিশিল্ডের দু’টি ডোজ নিয়েছেন, তাঁরা ৪ অক্টোবর থেকে ব্রিটেনে যেতে পারবেন। তবে এখনও ভারতীয়রা ব্রিটেনে গেলে তাঁদের কোভিশিল্ডের দু’টি ডোজ নেওয়া থাকলেও বাধ্যতামূলকভাবে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোয়ারেন্টিনেই থাকতে হবে। কারণ, ভারতে ভ্যাকসিনের যে শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে, সেটা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে হবে। ব্রিটেন যাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত বদল করে তাই নিয়ে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আরও জানান হয়, সিদ্ধান্ত বদল না করলে, ভারতের তরফেও একই রকম নিয়ম কার্যকর করা হবে ভারতে আসা ব্রিটেন নাগরিকদের জন্য। তবে অবশেষে এখন ভ্যাকসিন নিয়ে জট কাটল। কিন্তু কোয়ারেন্টাইন জট অব্যাহত। এদিকে ব্রিটেনের এই নয়া নীতির সমালোচনা করেছেন বিদেশ মন্ত্রকের সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।