বিগত দীর্ঘ ছয় মাস বন্ধ ছিল রাজ্যের রেল পরিষেবা৷ এবার করোনা আবহে ছ’মাস বন্ধ থাকার পর রবিবার থেকে ফের চালু হয়েছে লোকাল ট্রেন৷ ট্রেন চালু হওয়ার পর সোমবারই প্রথম কর্মদিবস৷ ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হলেও লোকাল চালু হতেই ভিড়ের সেই চেনা ছবি৷ গাদাগাদি করেই ট্রেনে উঠছেন যাত্রীরা৷ ভিড় সামাল দেওয়াই রেলের কাছে এখন অ্যাসিড টেস্ট৷
আজ সকাল থেকেই হাওড়া-শিয়ালদা শাখায় চেনা ছবি৷ ট্রেনে বাদুর ঝোলা ভিড়৷ বিধাননগরে থিক থিক করছে যাত্রী৷ ট্রেন থামতেই হুড়মুড়িয়ে নামছেন যাত্রীরা৷ সকালে সাড়ে ন’টা হবে গেদে শিয়ালদা লোকাল বিধাননগর স্টেশনে থামতেই পিলপিল করে নামতে শুরু করে লোক৷ তার উপর বহু যাত্রীর মুখেই মাস্কের দেখা নেই৷ তাই লোকাল ট্রেনের যা চিত্র তাতে ৫০ শতাংশের বিধি মানার কোনও প্রশ্নই থাকছে না৷ স্টেশনে শুধুই মানুষের ভিড়৷ তবে শুধু বিধাননগর স্টেশন বা গেদে লোকাল নয়, প্রতিটি ব্যস্ত স্টেশনের ছবিই প্রায় এক৷ যার সঙ্গে সরকারের বিধি নিষেধের কোনও মিলই নেই৷
অন্যদিকে, একই ছবি হাওড়া শাখাতেও৷ শেওড়াফুটি স্টেশনে বাদুর ঝোলা ভিড়৷ করোনা বিধি মেনে যাত্রীদের চলার জন্য জিআরপি’র তরফে চলছে প্রচার৷ সেই সঙ্গে দেখা গেল আরও একটি ছবি৷ ট্রেন বন্ধ থাকায় রুজি রোজগারে টান পড়েছিল হকারদের৷ এদিন ট্রেন চলতেই ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে নারকেল ফাটিয়ে, মালা পরিয়ে, ধূপ দেখিয়ে কামরায় উঠলেন তাঁরা৷ অন্যদিকে যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে যাত্রীদের মধ্যে মাস্ক ও স্যানিটাইজার দেওয়া হয়৷
অন্যদিকে বারাসত স্টেশনে দেখা গেল যাত্রী বিক্ষোভ৷ ট্রেনের মেঝে থেকে বসার আসন সর্বত্রই ধুলোর আস্তরণ৷ করোনা বিধি মানর জন্য যেখানে এক জোড় দেওয়া হচ্ছে, সেখানে স্যানিটাইজেশনে এত গাফিলতি কেন? প্রশ্ন ক্ষুব্ধ যাত্রীদের৷