লক্ষ্য এখন একটাই, আগামী লোকসভা নির্বাচন। পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের খুব বেশি দিন আর বাকি নেই। ফলে এখন থেকেই ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত গেরুয়া শিবির। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আগামী মাসেই হতে চলেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল।
জানা যাচ্ছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকেই মন্ত্রিসভার রদবদলের কাজ সেরে ফেলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলসূত্রে খবর এমনটাই। অন্যদিকে ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, এবারের মন্ত্রিসভায় আসতে চলেছে একের পর এক চমক।
আগামী লোকসভা নির্বাচনে মহিলা ভোট ব্যাঙ্কের উপর বিশেষ নজর দিতে চলেছে গেরুয়া শিবির। আর তাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতেও বাড়তে চলেছে মহিলা প্রতিনিধির সংখ্যা। অন্যদিকে দিন কয়েক আগে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণেও প্রধানমন্ত্রীর গলায় শোনা গিয়েছে দেশের মহিলাদের সুরক্ষায় একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতির কথা।
তিনি মহিলাদের সুরক্ষা, সম্মান এবং ক্ষমতায়নের উপর বিশেষ জোর দেওয়ার কথা বলেন ওই ভাষণে। তার দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতিরই এবার প্রতিফলন দেখা যেতে চলেছে মন্ত্রিসভায়।
অন্যদিকে সেপ্টেম্বরের শুরুতেই মন্ত্রিসভার রদবদলের সম্ভাবনার পিছনে অন্যতম কারণ হিসাবে জানা যাচ্ছে, আগামী মাসের দশ তারিখের পর থেকেই হিন্দি পঞ্চাঙ্গ, পঞ্জিকা অনুযায়ী শ্রাদ্ধ অর্থাৎ পিতৃপক্ষ শুরু হয়ে যাবে।
এই সময়ে পুরো উত্তর ভারত জুড়ে অঘোষিতভাবেই শুভকাজ নিষিদ্ধ বলেই মানা হয়। শ্রাদ্ধ শেষ হলেও নবরাত্রি, দেবীপক্ষের সূচনার সঙ্গে দেশজুড়ে উৎসবের মরশুম শুরু হয়ে যাবে। তাই সেপ্টেম্বরের শুরুতেই মন্ত্রিসভায় বদলের কাজটি সেরে রাখতে চাইছে বিজেপি। উল্লেখ্য, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে গতবছর মোদি মন্ত্রিসভায় প্রথম রদবদল হয়েছিল।
বর্তমানে কেন্দ্রের একেকজন মন্ত্রীর উপর একাধিক মন্ত্রকের দায়িত্ব রয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে মুখতার আব্বাস নাকভি ও সদ্য প্রাক্তন জোট শরিক জেডিইউ-র আর সি পি সিংও মন্ত্রীপদ ত্যাগ করেছেন। সেই দুই মন্ত্রকের বাড়তি দায়িত্ব যথাক্রমে স্মৃতি ইরানি ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, শিবসেনার একনাথ শিণ্ডে গোষ্ঠী এনডিএতে ফিরেছে। শিণ্ডে শিবির থেকে দু’-জনকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে শিবসেনার আলোচনা চলছে।