সদ্য রাজ্যে হওয়া পুরসভা ভোট নিয়ে উঠছে অভিযোগ৷ কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে৷ গতকাল ফল প্রকাশিত হয়েছে চার কেন্দ্রের পুরভোটে৷ জলপাইগুড়ি পুরনির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এলাকার পরিচিত নেতা মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু অভিযোগ, মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়৷ এর পরেই আদালতে মামলা করেন তিনি৷ ওই ঘটনায় সোমবার রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে একযোগে ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাই কোর্ট৷
এদিন হাই কোর্টের বিচারপতি রবি কিষাণ কাপুর বলেন, ‘‘হতে পারে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ভিন্ন৷ কিন্তু কোনও ব্যক্তি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইলে তাঁকে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে না দেওয়াটা গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’’ বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার তার দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না৷’’
উল্লেখ্য, পুরভোটে প্রথম যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে জলপাইগুড়ি ১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রকাশিত হলেও, সংশোধিত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি৷ এর পরেই নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন৷ কিন্তু অভিযোগ, মনোনয়ন জমা দিতে গেলে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁকে৷ এর পরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মলয়বাবু৷ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন জলপাইগুড়ি জেলার মহকুমা শাসককেও তলব করেছিলেন বিচারপতি৷ এই মামলায় রাজ্যের হলফনামা তলব করা হয়েছে৷ আগামী ১ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি৷