রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। এসএসসি, টেট নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগের কোনও শেষ নেই। এই নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে যখন উত্তাল গোটা রাজ্য, তখনই আরও একটি ভুয়ো আবেদনকারীর খবর সামনে আসে। এনভিএফ নিয়োগে ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে সরগরম হয় রাজ্য। সেই ইস্যুতে যিনি অভিযুক্ত তাকে রক্ষাকবচ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে তাকে গ্রেফতার করতে পারবে পুলিশ।
এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে আসে জীতেনকৃষ্ণ ঘোষের। দুজনেই এলভিএফ-এ কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ, ২০১৯ সাল থেকে নথি জাল করে প্রায় দশ জনকে চাকরি দেন তিনি। প্রত্যেকের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা করে নেন বলেও অভিযোগ। পরে পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতোয়ালী থানায় প্রথম ৩ টি অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে জীতেনকৃষ্ণ ঘোষের নাম পায় এবং তাকে গ্রেফতার করে। কিন্তু পরবর্তীকালে তিনি জামিন পান। এদিকে জামিন পাওয়ার কয়েকদিন পরেই আবার গোয়ালতোর থানায় ফের তার নামে অভিযোগ দায়ের হয়।
অন্যদিকে গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছেন জীতেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট। গ্রেফতারি এড়াতে হাইকোর্টে রক্ষাকবচের আবেদন জানালেও তা খারিজ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার বক্তব্য, আবেদনকারীর তদন্ত এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা আছে। আসলে আগেই পুলিশের তরফে আদালতে জানান হয়েছিল, তিনি তদন্তে সাহায্য করছেন না। বারবার নোটিশ দিলেও তদন্তে সাড়া দেননি।