প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

বেশ কয়েকদিন আগেরই ঘটনা, কিন্তু তার রেশ চলছে এখনো। চলতি বছরের শুরুতে ঘটে যাওয়া, পঞ্জাবের ভাতিন্দায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঘটনায় এখনও অস্বস্তিতে পঞ্জাব সরকার। বিজেপি এই ইস্যুকে এখনই দাবিয়ে দিতে রাজি নয়। প্রথম থেকেই কংগ্রেস সরকারের কড়া সমালোচনা করছে তারা। সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয় মামলা হয়েছে আর মোদীর নিরাপত্তা-চ্যুতির তদন্তের জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠনও হয়েছে। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি দাবি করলেন, পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে হত্যা করতে ষড়যন্ত্র করেছিল পঞ্জাব কংগ্রেস।

এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে হিমন্ত বলেন, কংগ্রেস হাইকমান্ড এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চান্নি মিলে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন! এক স্টিং অপারেশনের কথা বলে তিনি বিস্ফোরক দাবি করে বলেন, গত ২ জানুয়ারী পঞ্জাব সিআইডির ডিএসপি সুখদেব সিং এবং অন্য এক সিনিয়র এসএসপি এই নিয়ে আলোচনা করেছিল। তখনই এই ঘটনা ঘটানোর ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। যে দিন এই ঘটনা ঘটেছিল সেদিনের সমস্ত তথ্য পঞ্জাব পুলিশের হাতে ছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, পঞ্জাব পুলিশ সব জেনেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। একই সঙ্গে তিনি আরও দাবি করেন, যারা সেদিন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল তারা কেউই কৃষক নয়, খালিস্তানি জঙ্গি।

আগেই গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি জানিয়েছিলেন যে, নিরাপত্তায় কোনও খামতি ছিল না। কিন্তু তিনি কৃষকদের ওপর লাঠি চালাতে পারতেন না। কিন্তু বিজেপি প্রথম থেকেই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে আসছে। এদিকে, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, মোদীর নিরাপত্তা-চ্যুতির তদন্তের জন্য যে কমিটি তাতে চেয়ারপার্সন হবেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ইন্দু মলহোত্র। মলহোত্র ছাড়াও থাকবেন এনআইএ-র ডিরেক্টর জেনারেল, চণ্ডীগড় পুলিশের প্রধান, পঞ্জাব পুলিশের এডিজি (নিরাপত্তা) এবং পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এই ঘটনা সংক্রান্ত রিপোর্ট শীর্ষ আদালতে জমা দিতে হবে তাঁদের বলেই নির্দেশ।

Leave a Reply