কোচবিহারে এখন তীব্র দাবদাহ চলছে । এই প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই কেউ খেতে কাজ করছেন আবার কেউ বা চাঁদি ফাটা রোদে রাস্তায় রয়েছেন। ফলে যে কোনও মুহূর্তেঈই ‘হিট স্ট্রোক’-এ আক্রান্ত হওয়ায় আশঙ্কা রয়ে যাচ্ছে। এই কথা মাথায় রেখেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। ‘হিট স্ট্রোক’-এর হাত থেকে কীভাবে বাঁচা যাবে, তা নিয়ে নানারূপ সতর্কতামূলক প্রচার করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে হাসপাতালগুলিতে ওইসব রোগীদের কথা ভেবেই নির্দিষ্ট করে রাখা হচ্ছে বিশেষ শয্যা।
কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকান্ত বিশ্বাস জানালেন তীব্র গরমের কথা মাথায় রেখে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রত্যেকের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্ত ব্যবস্থা করার কথা জানানো হয়েছে। কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের এমএসভিপি রাজীব প্রসাদের আশ্বাস দিয়ে জানান ‘হিট স্ট্রোক’ আক্রান্ত রোগীদের জন্য শয্যা প্রস্তুত আছে।এখানে চিকিৎসার সমস্ত রকম পরিকাঠামো রয়েছে।
কোচবিহারে গত এক মাস ধরে গরম পড়তে শুরু করেছে । গত কয়েক দিন ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রির কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছে। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ মৌসম সেবা কেন্দ্র অনুযায়ী এই মুহূর্তে আবহাওয়ার বদল কিংবা বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই। এমন পরিস্থিতিতে ‘হিট স্ট্রোক’ হওয়া কোন অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। কোচবিহারের একটি বড় অংশ কৃষিজীবী। তারা দিনভর খেতে কাজ করেন।এটি পাট, বোরো ধান, ভুট্টা ইত্যাদি চাষের সময়। খেতে জল দেওয়া থেকে শুরু করে আগাছা পরিষ্কার, কীটনাশক স্প্রে সবই কৃষকদের করতে হয়। তাই স্বাভাবিক ভাবে অনেকটা সময়ই রোদের মধ্যে কাটাতে হয় তাঁদের। আর অপর একটি অংশের মানুষ শ্রমিক। তাঁরাও সারাদিন খোলা আকাশের নীচে নানা কাজ করেন। তাই স্বাস্থ্য দফতর কোনরূপ ঝুঁকি নিচ্ছে না ।