টিকা নিয়ে ক্ষোভ, বিক্ষোভ কার্যত নিত্য সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে শিলিগুড়িতে। আজ এই কেন্দ্রে তো কাল অন্য কেন্দ্রে টিকা নিয়ে বিক্ষোভের ছবি আসছে। কোথাও নোটিশ জারি করে মিলছে না টিকা, আবার কোথাও বিনা নোটিশে টিকা দেওয়ার অভিযোগ। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে টিকা কেন্দ্র। পুলিশি মধ্যস্থতায় সুরাহা মেলে। তবু টিকা নেওয়ার জন্যে রাতভর লাইনে দাঁড়াচ্ছেন শহরবাসী। তারপর সময়ে কুপন না পেয়ে দানা বাঁধছে ক্ষোভ। যা স্বাভাবিকই। লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা টিকা না মিললে ক্ষোভ তো হবেই।
টিকার ক্ষেত্রে এবারে সরলীকরণের পথে হাঁটতে চাইছে স্বাস্থ্য দফতর। শিলিগুড়িতে ওয়ার্ড ভিত্তিক টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সেইমতো দার্জিলিংয়ের জেলাশাসককে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলেছেন কোভিডের উত্তরবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্তা সুশান্ত রায়। শহরের ৪৭টি ওয়ার্ডে কয়েক দফায় হবে এই টিকাকরণ। প্রতি ওয়ার্ডে ৫০০ করে টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে ৪০০ জন পাবেন সাধারন বাসিন্দা। বাকি ১০০ জন হলেন শূণ্য থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের মায়েরা। একদিনে দুটো বা তিনটে ওয়ার্ডে হবে এই টিকা। তাহলে টিকা নিয়ে ক্ষোভ অনেকটাই কমানো যাবে বলে ধারণা স্বাস্থ্য দফতরের। পাশাপাশি টিকার জন্যে রাত জেগে লাইনে দাঁড়ানো বা দূরের টিকা কেন্দ্রে পৌঁছনর ঝক্কি পোহাতে হবে না। বাড়ির সামনেই মিলবে কোভিডের দুই ডোজ!
এই নিয়ে শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সঙ্গে জেলাশাসককে আলোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্তা। প্রতি ওয়ার্ডে একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করবে স্বাস্থ্য দফতর। ওই নোডাল অফিসারই পুরো বিষয়টি মনিটরিং করবেন। তাতে টিকার কুপন নিয়ে জটিলতাও কাটবে। যা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিরোধীদের। সহজেই শহরবাসী টিকা পাবে। কোনো বিতর্ক থাকবে না। প্রসঙ্গত এর আগে পুর প্রশাসক গৌতম দেবও একই প্রস্তাব রেখেছিলেন। টিকার সরলীকরণ বাস্তবায়িত হলে স্বস্তি পাবেন শিলিগুড়ির বাসিন্দারাও। একইভাবে পরবর্তীতে গ্রামাঞ্চলেও টিকাকরণ করাতে চায় স্বাস্থ্য দপ্তর।