শিলিগুড়ির পুজো মণ্ডপ পরিদর্শন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে পুলিশ আধিকারিকদের ব্যস্ততা তুঙ্গে

মহালয়ার দিন শিলিগুড়ি শহরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে শুরু করল শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ। বুধবার শিলিগুড়ি পুরনিগম এলাকা ও মহকুমা পরিষদ এলাকার বড় বড় পুজো মণ্ডপগুলি পরিদর্শন করেন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর,ডিসিপি (ট্রাফিক) বিশ্বচাঁদ ঠাকুর,ডিসিপি (পূর্ব) রাজেশ সিং সহ এসিপি এবং সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ আধিকারিকরা। এদিন তারা শিলিগুড়ির বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ঘুরে পুজো মণ্ডপগুলি কি কি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হয়।

পুলিশ আধিকারিকরা কথা বলেন পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে। দর্শনার্থীরা কোন দিক দিয়ে মন্ডপে প্রবেশ করবেন এবং কোন পথ দিক দিয়ে প্রতিমা দর্শন করে বেরোবেন সেই সমস্ত পথ কতটা প্রশস্ত, পুজো মণ্ডপে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা রয়েছে কিনা সেই সব দিকগুলি খতিয়ে দেখা হয়। সেই বিষয়গুলি নিয়ে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। পাশাপাশি ক্লাবের তরফ থেকে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ এবং সিসিটিভি ক্যামেরার বন্দোবস্ত সম্পর্কেও ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর জানান,পুজ মণ্ডপে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত খতিয়ে দেখতেই এই পরিদর্শন।

বিভিন্ন পুজো মণ্ডপগুলি পরিদর্শন করে কোথায় কি খামতি রয়েছে আর সেই খামতি নিরসনের উপায় গুলি বের করতে পুলিশ কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি পুজো মণ্ডপে ঠাকুর দেখতে এসে দর্শনার্থীরা মোটরবাইক এবং গাড়ি কোথায় রাখবেন সেই বিষয়েও পুজো কমিটির সাথে কথা বলা হয়। বড় পুজো কমিটি গুলোকে পার্কিংয়ের জন্য স্থান নির্দিষ্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। এদিকে আজ থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে ভার্চুয়ালি শিলিগুড়ির বেশ কিছু পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন শুরু হতে চলেছে। অপরদিকে দর্শনার্থীদের জন্য তৃতীয়া এবং চতুর্থীতে খুলে যাবে বড় বড় পুজো মণ্ডপের দরজা। সেই কারণেই আগেভাগে পূজো মণ্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখল শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের উচ্চপদ পুলিশ কর্তারা।