জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি দোমহানি এলাকায় ঘটেছে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা। বিকানের পাটনা -গৌহাটি এক্সপ্রেসে ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। পাটনা গৌহাটি এক্সপ্রেস এর চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। ট্রেনের গতিবেগ খুবই বেশি ছিল তার কারণ দুর্ঘটনার পর এই একটি বগির উপর আরেকটি বগি উঠে এসেছে। দুটো বগির সামনের অংশ একেবারেই বিধ্বস্ত। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয় মানুষজন উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছে, ভাঙাচোরা বগির থেকে বার করা হচ্ছে আহতদের।
দুর্ঘটনার পরেই দুটি বগি কাত হয়ে রেল লাইনের ধারেই উল্টে যায়। ইতিমধ্যে খবর গেছে রেলের সদর দপ্তরে। আলিপুরদুয়ার থেকে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। স্থানীয় মানুষজন আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ময়নাগুড়ি হাসপাতালে এবং জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছে। এখনো বহু আহত মানুষ রেললাইনের ধারে পড়ে রয়েছে। যাদের কে উদ্ধার করার চেষ্টা করছে স্থানীয় মানুষজন। ট্রেনটির যে অংশ ভেঙে পড়ে রয়েছে সেই অংশের ভিতরে কেউ আটকে আছে কিনা তার খোঁজ চালাচ্ছেন স্থানীয় মানুষজন। রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই রওনা দিয়েছেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে।
প্রশ্ন হচ্ছে এই রেল দুর্ঘটনা কিভাবে ঘটল।একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে এই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে । যদিও রেল দপ্তরের আধিকারিকরা এখনো ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নি। রেল দপ্তরের আধিকারিক এবং ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত করে এর আসল কারণ নির্ধারণ করলে ,তবেই পরিষ্কার হবে দুর্ঘটনার কারণ কি? তবে ঘটনার তীব্রতা দেখে একটা বিষয় পরিষ্কার যে রেলের গতিবেগ অত্যাধিক বেশি ছিল তার কারণ বেলাইন হওয়ার পরেই একটি বগির উপর আরেকটি বগি যেভাবে উঠে এসেছে অত্যাধিক গতি না থাকলে এটা সম্ভব নয়। এখনো পর্যন্ত আহত এবং হতাহতের সংখ্যা জানা যায়নি।