চলছে মেট্রোর কাজ। কাজ চলাকালীনই দেখা দিলো আতঙ্ক৷ ফের দুর্গা পাতুরি লেনের একাধিক বাড়িতে ফাটল। ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয় মেট্রো রেলের কাজ চলাকালীন। আতঙ্কে ঘর ছাড়ে বহু পরিবার৷ প্রায় আড়াই বছর পর ফের বৌবাজারকে গ্রাস করল আতঙ্ক। বাসিন্দাদের দাবি, গত কয়েকদিন ধরেই ফাটল ধরছিল বাড়ির দেওয়ালে। এদিন পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে৷ মেঝেতেও ফাটল দেখা যায়। প্রাণভয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। ফাটল দেখা গিয়েছে রাস্তাতেও৷ গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিশ৷
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন মেট্রো আধিকারিকরা। গিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে এবং চৌরঙ্গীর বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্বরূপ জানান, কমপক্ষে ৮-১০টি বাড়িতে ফাটল ধরেছে৷ পর পর বাড়িতে ফাটল ধরতেই মেট্রোর কাজ বন্ধ করে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ খবর পেয়েই অকুস্থলে পৌঁছন পুলিশ বাহিনী ও কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। পুলিশ ক্রমাগত মাইকিং করছে৷ যাঁরা এখনও বাড়ির ভিতরে রয়েছেন, তাঁদের বেরিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে৷ মেট্রো কর্তৃপক্ষ ও পুরসভা যৌথভাবে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরানোর চেষ্টা করছে৷
২০১৯ সালেও বৌবাজারের একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরেছিল। সেই সময় মেট্রো কর্তৃপক্ষ সেগুলি মেরামত করে দেয়৷ কিন্তু তার কয়েকটিতে এ বারও ফাটল ধরেছে। তা হলে কি ওই সময় সঠিক ভাবে মেরামত করা হয়নি? প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা৷ এদিকে, বুধবার এক-দেড় ঘণ্টার নোটিশে ঘর ছাড়তে হয়েছে দুর্গাপিটুরি লেনের বাসিন্দাদের৷ বিপজ্জনক বাড়ি থেকে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে কিক রো হোটেল কিউ ইন এবং গণেশ চন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের ব্রডওয়ে হোটেলে৷ কিন্তু অভিযোগ, সেখানে ঘরছাড়াদের জন্য কোনও রকম খাবারের ব্যবস্থা করা হয়নি৷ ক্ষোভে ফুঁসছেন বাসিন্দারা৷