পঞ্চবটি বন গড়ে তোলার লক্ষ্যে কোচবিহার বিসর্জন ঘাটে বৃক্ষরোপণ শুরু করল কোচবিহারের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংস্থার কর্ণধার বিনয় দাস বলেন,
১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে আমাদের প্রিয় কোচবিহার শহরকে প্রথম সুপরিকল্পিত নগর হিসেবে রূপায়িত করেছিলেন মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ন। তিনি সেই সময় সমস্ত শহরকে বিভিন্ন ফলের গাছ দিয়ে সাজিয়েছিলেন। কালের পরিবর্তনে আজ আর সেই সব গাছ দেখা যায় না। প্রত্যেক বাড়ির সামনে ফুলের বাগান পিছনে ফলের বাগান বঙ্গ সংস্কৃতির গাছ আম,জাম কাঁঠাল,লিচুতে ভরা ছিল।
এখন প্রত্যেক বাড়ি কংক্রিটের জঙ্গলে পরিণত হয়েছে।
আজ থেকে ১৩০ বছর আগে মহারাজা ছোট ছোট খণ্ডগণ বানিয়েছিলেন শহরের আশপাশে।তাই আমরা আবার ছোট ছোট খণ্ডবন বানানোর চেষ্টা করছি।
কোচবিহার শহরে দক্ষিণ দিক দিয়ে প্রবেশ করার সময় একটি জায়গার নাম হরিণচওড়া,এক সময়ে হরিণ চড়ে বেড়াতো বলে হরিণ চওড়া নাম হয়েছে হয়েছে,ঘন জঙ্গল ছিল বলেই হরিণ থাকতো।আজ আর জঙ্গল নেই কংক্রিটের ঘন জঙ্গলের পরিণত হয়েছে।
সেই হরিণ চওড়া এলাকায়, বাধের পার কালীবাড়ির পাশে,পাশে আমরা একটি পঞ্চবটি বন বানাতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি আজ, আমলকি,হরতকি,বহেড়া,নিম,বেল এই জাতীয় বৃক্ষ দিয়ে।বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পঞ্চবটি বন বানানোর অভিযান অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য এডিএফও বিজন কুমার নাথ। কোচবিহার জেলাকে পুনরায় সবুজায়নে ভরিয়ে তুলতে আমাদের এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে তিনি জানান।