গত বছর ২০২০ সালেই প্রথম কারণে সংক্রমনের উৎপত্তি হয় চিনে। তারপর চিন থেকেই ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরে এই করোনাভাইরাস। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত গোটা বিশ্বের কী অবস্থা তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। একাধিক নিয়ম থেকে শুরু করে লকডাউন, সব সহ্য করতে হয়েছে বিশ্ববাসীকে। আপাতত এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে তাই অনেক জায়গাতে লকডাউন উঠে গিয়েছে। কিন্তু গত বছর যে জায়গা থেকে ভাইরাসের দাপাদাপি শুরু হয়েছিল এখন ঠিক সেই জায়গাতে আবার হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ! চিনে আবার লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই কারণে।
জানা গিয়েছে, সংক্রমণ বৃদ্ধি হওয়ার কারণে চিনের লানঝউয় শহরে লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সেখানে এখন গৃহবন্দী প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ওই শহরে করোনাভাইরাসের একটি ভিন্ন প্রজাতি ধরা পড়েছে এবং তাকে নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। সেই কারণেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে শুধু এই সিদ্ধান্ত নয়, এর পাশাপাশি আগের মতো সম্পূর্ণ নিয়ম বিধি আরোপ করা হয়েছে। মানুষের আতঙ্ক আরো বেড়েছে কারণ সম্প্রতি সে দেশে নতুন করে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে ২৯ জন। তাই কোনও ভাবেই ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন।
তবে এখন একটা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে হঠাৎ করে চিনে কেন ভাইরাসের সংক্রমণ এত বাড়তে শুরু করল। অনেকেই মনে করছেন যে, লকডাউন উঠে যাওয়ার কারণে বাইরে থেকে অনেক পর্যটক সেই দেশে গিয়েছে এবং তার জন্য নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ পর্যাপ্ত নিয়ম বিধি পালন করা হয়নি। সেই কারণেই এখন আরো বেশি কড়াকড়ি শুরু করেছে বেজিং প্রশাসন। যদিও বেজিং প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে যে তারা আসল তথ্য লুকিয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, প্রশাসনের তরফ থেকে যে তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে তার থেকে অনেক বেশি মানুষ এখন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।