আবার একবার দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী

রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। এরই মাঝে শিক্ষক নিয়োগ ইস্যু নিয়ে রাজ্যের অবস্থা একদমই ভাল নেই। এই পরিস্থিতিতে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ ইস্যু নিয়ে আবার উত্তেজনা ছড়ালো। এবার পরীক্ষায় নম্বর চুরির আশঙ্কা করা হল। অভিযোগ উঠেছে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও উপযুক্ত প্রমাণ-সহ নম্বর দেয়নি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এই প্রেক্ষিতে পরীক্ষার আসল ওএমআর শিট দেখতে চেয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ১১ জন পরীক্ষার্থী।

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই ইস্যুতে নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে পর্ষদকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে মামলকারীরা কত নম্বর পেয়েছেন। প্রশ্ন ভুলের দরুণ তাঁদের কত নম্বর বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১৪ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। মামলকারীদের বক্তব্য, গত সেপ্টেম্বরে পর্ষদ ফোন করে অফিসে যেতে বলে। সেখানে গেলে মার্কশিট, ওএমআর শিট তারা দেখায়নি। শুধু সাদা কাগজে নম্বর লিখে তা পড়ে শোনায় পর্ষদ। এবার মামলকারীদের হয়ে পর্ষদের কাছে নম্বর জানতে চাইল হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের (নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ) পরীক্ষায় ইতিহাসের দু’টি প্রশ্ন ভুল ছিল এই দাবিতে হাইকোর্টে মামলা করেন কয়েকজন পরীক্ষার্থী। সেই সময় আদালত অতিরিক্ত দুই নম্বর মামলাকারীদের দেওয়ার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি উত্তরপত্র দেখাতে হবে এমন নির্দেশও ছিল। কিন্তু পর্ষদ এখন যা আচরণ করেছে তাতে নম্বর চুরির আশঙ্কাই করছেন মামলকারী চাকরিপ্রার্থীরা।